ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ’র’ এর নতুন ষড়যন্ত্র!

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ৩ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৪:৪৭, ৩ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ’র’ এর নতুন ষড়যন্ত্র!

ছ‌বি: সংগৃহীত

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর নতুন ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে যারা নতুন নামে ও নতুন পরিচয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। 

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই অভিযোগ উঠতে থাকে বহু বছর ধরে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছিলো এই গোয়েন্দা সংস্থাটি। আর এই উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করা হয়েছিল প্রধান অস্ত্র হিসেবে।

এমনকি অনেক বিশ্লেষকই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি র-এর সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরে হতে যাচ্ছে নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগে দেশে র-এর আগমন ঠিক কী ইঙ্গিত করছে? এর আগে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি জুলকারনাইন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে র-এর দুইজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং (র) এর দুইজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত ৬ নভেম্বরে ঢাকায় আসেন। ভারতীয় হাই কমিশন তাদের এই সফরের ব্যবস্থা করে। 

জুলকারনাইন আরও জানান, “তথ্য প্রমাণ যাচাই করে জানা গেছে যে, ৬ নভেম্বর ২০২৪, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ২২৭ এ, র'এর এডভাইজর ও পরিচালক পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা; আশোক কুমার সিনহা এবং কনজক তাশি খামপা, ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় তাদের গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এই র' কর্মকর্তারা মূলত ভারতের আইপিএস (ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) কর্মকর্তা। আইপিএস হতে ২০০৭ সালে আশোক এবং ২০১৩ সালে কনজক'কে ডেপুটেশনে র'তে পাঠানো হয়। 

ইতোপূর্বে আশোক কুমার সিনহা দুইবার বাংলাদেশে আসে (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ও ১০ নভেম্বর ২০২৩) কেবল ১ দিনের জন্যে। 

মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে গোয়েন্দা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতেই এই দুই কর্মকর্তার ঢাকায় আসা, কিন্তু বিধিবাম, আওয়ামী সরকারের সময় যে ধরনের অভ্যর্থনা পেয়ে তারা অভ্যস্ত এবার হয়েছে ঠিক তার উল্টো, আগে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোন প্রটোকলের তোয়াক্কা না করলেও এবার তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এনএসআই এবং ডিজিএফআই' এর পক্ষ হতে র' কর্মকর্তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয় যে,  রুটিন সম্পর্কের বাইরে কোন বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ নেই।  বাংলাদেশে র'এর কভার ও ডিপ কভারে থাকা অপারেটরদের নিষ্ক্রিয় করতেও তাদের পরামর্শ দেয়া হয়। বাংলাদেশ পক্ষের কাছ থেকে আশানরূপ সারা না পেয়ে এ কর্মকর্তারা অত্যন্ত হতাশ হন, যা পরবর্তীতে তারা যে হোটেলে অবস্থান করছিলেন (হোটেল আমারী, গুলশান ২) ওই হোটেলের কর্মীদের সাথে অহেতুক দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়।”

৫ আগস্টের পর  থেকে অনেকটা শীতল ভারত র বাংলাদেশের সম্পর্ক। এর পেছনে রয়েছে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া, সীমান্ত উত্তেজনাসহ নানা ইস্যুতে বিপরীতমুখী অবস্থানে দুই দেশ। এমন সময় আবার বাংলাদেশে র-এর আরও একটি দল প্রবেশ করেছে দাবি করছেন এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক। কী হতে পারে তাদের উদ্দেশ্যে? নির্বাচনকে সামনে রেখে কি বাংলাদেমকে অস্থিতিশীল করতে নতুন ষড়যন্ত্রে নেমেছে-র?

 

 

ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=EAjDqurliTU

এসইউ

×