
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আইন বিভাগের ছাত্র ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। ছবিঃ সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার বা আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আইন বিভাগের ছাত্র ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন এই কোটা শুধুমাত্র বিতর্ককে উস্কে দিবে।
সোমবার (৩ মার্চ) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘আমার একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত হলো— এইটাইপ কোটার কোন দরকার নাই, এইভাবে কোটা সিস্টেম রাখলে তা বরং বিতর্ককে উস্কে দিবে।’
যদিও তিনি পূর্বের কোটা সিস্টেমের সাথে গতকাল নেওয়া সিদ্ধান্তের তুলনা করে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতি কোটার সাথে এই কোটার বিশাল গুণগত পার্থক্য আছে, সেটা আমি জানি এবং মানি, স্টিল এটার দরকার ছিলো না।’
কোটার বিকল্প হিসেবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, ‘আহত যারা আছে, তাদেরকে উন্নতমানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। শহীদ পরিবার এবং আহত পরিবারকে খুবই ভালো অ্যামাউন্টের অনুদানের ব্যবস্থা করেন, যাদের ঘরবাড়ি ঠিকঠাক নাই, সেসব বানিয়ে দিন। অন্য নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা যায়— এসবক্ষেত্রে কেউই কোন কথা বলবে না, বরং খুশি হবে। স্কুলে ভর্তির আইওয়াশ 'কোটা' বাদ দিয়ে বরং তাদের অন্য সবকিছু নিয়ে মনোযোগী হোন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আহতদের সঠিক চিকিৎসা নিয়ে বহু গড়িমসি হয়েছে—এটা ফ্যাক্ট। এগুলোর পেছনে বরং বেশি মনোযোগী হোন। কাজের কাজটা না করে এইযে এভাবে বিতর্ক তৈরী করার সুযোগ দেওয়ার মানেটা কী? এইভাবে কোটা চালু করার ( যদিও তা খুবই লিমিটেড স্কেলে আছে) পক্ষে আমি নই। এসব করে মূলত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কোটা সংক্রান্ত বিতর্ক তৈরী করে, আমজনতার কাছে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার সূক্ষ্ণ কোন প্রজেক্ট কিনা—সেটাও ভাবাটা জরুরি।
আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য এই লেখাটা লিখলাম।’