ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজাদারের সামনে খাওয়ার সাথে রোজা শুদ্ধ হওয়া না হওয়ার সম্পর্ক নাই: কদরুদ্দিন শিশির

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ২ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২৩:৫২, ২ মার্চ ২০২৫

রোজাদারের সামনে খাওয়ার সাথে রোজা শুদ্ধ হওয়া না হওয়ার সম্পর্ক নাই: কদরুদ্দিন শিশির

ছবি: সংগৃহীত

এএফপি-এর সাংবাদিক ও ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দিন শিশির রোজা ও ধর্মীয় সহনশীলতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, একজন রোজাদারের সামনে কেউ খেলে বা না খেলে তার রোজা শুদ্ধ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, রোজা রাখা বা না রাখার বিষয়টি ব্যক্তিগত, এতে জোর করার সুযোগ নেই। কেউ স্বেচ্ছায় রোজা না রাখলে অন্য কেউ তাকে জোর করে রোজা রাখতে বাধ্য করতে পারেন না। ইসলামেও এই ধরনের জবরদস্তির অনুমোদন নেই।

কদরুদ্দিন শিশির আরও বলেন, অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানও বিভিন্ন কারণ, যেমন অসুস্থতা বা সফরের কারণে রোজা রাখতে পারেন না। এছাড়া, যারা কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করেন, বিশেষ করে নিম্নআয়ের শ্রমিকরা, তারা অপুষ্টির কারণে দিনের বেলায় না খেয়ে কাজ চালিয়ে যেতে অক্ষম হতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাদের কাজের চাপ কমানো হয় না বা মালিকপক্ষ থেকে তাদের জন্য কোনো ছাড় দেওয়া হয় না।

অমুসলিমদের প্রকাশ্যে খাবার গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে অনেক অমুসলিম ব্যক্তিগতভাবে রোজাদারদের সম্মান জানিয়ে তাদের সামনে না খাওয়ার চেষ্টা করেন, যা সমাজের সহমর্মিতার সংস্কৃতির অংশ। এটি স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ, কোনো ধরনের চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম নয়।

তিনি আরও বলেন, গত বছর রমজানে সরকার কাউকে হোটেল বন্ধ করতে বাধ্য করেনি বা এ নিয়ে কোনো কঠোর নির্দেশনা দেয়নি। তবুও মুসলমানদের রোজা নষ্ট হয়নি। তাই এবার যারা হোটেল বন্ধের দাবি তুলছেন বা এ বিষয়ে হুমকি দিচ্ছেন, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোর দেখানোর চেষ্টা করছেন। ধর্মকে ব্যবহার করে এই ধরনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে তিনি ইসলামসম্মত নয় বলে অভিহিত করেন।

রোজাদারদের রোজা পালনে সহায়তা করতে হলে জোরাজুরির পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার ও দাওয়াতি কাজ করার আহ্বান জানান কদরুদ্দিন শিশির।

এম.কে.

×