
ছবি: সংগৃহীত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা মানুষকে আরও বেশি উজ্জীবিত করেছে এবং আন্দোলনের শক্তি যুগিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাংবাদিক ও আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম মতিন এবং তার সহকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি ও তার আইনজীবীদের একটি দল আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো বন্ধে আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সহকর্মী আখি আকন্দ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। শেরপুরে নিজ বাসায় সন্তানকে গোসল করানোর সময় প্রায় ১০০ জন পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয় এবং তার সন্তানকে ধরে নিয়ে যায়। এমনকি তাকে গায়ে কাপড় দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়নি। মূলত, তার স্বামী বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই তাকে এভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়।
এ নিয়ে মঞ্জুরুল আলম মতিন বলেন, "একই কার্ড বারবার খেলা হচ্ছে। একজনের বাবা কী করলেন, তার জন্য সন্তানের দায় কেন?"
তিনি তাদের এই উদ্যোগের কারণ উল্লেখ করতে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টেরই এক আইনজীবী লিপি আপা তাকে জানিয়েছিলেন যে, "বাচ্চারা তো আবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, তাদের ওপর তো আবার গুলি চলতে পারে। আমরা কি কিছু করতে পারি না?"
এই প্রশ্নের জবাবে একজন আইনজীবী হিসেবে তাদের দায়বদ্ধতা অনুভব করেন তারা। তিনি বলেন, "মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে আমরা পিটিশন তৈরি করি, যাতে এই গুলিবর্ষণ বন্ধ করা যায়। আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে এসেছি, কারও বাপের প্রয়োজনে আসিনি।"
এই সাহসী উদ্যোগ এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকে আরও বেগবান করেছিল।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=X58ZjCT_gQU&t=82s
সায়মা ইসলাম