
আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য বৈঠকে ঢাকা দিল্লির কাছ থেকে কিছু কঠিন আলোচনা আশা করতে পারে ।
এপ্রিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে একটি বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম অরগানাইজার।
গেল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সংবাদে এ কথা বলে গণমাধ্যমটি।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও এটি দ্বিপাক্ষিক নিশ্চিত করা হয়নি,তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস সম্ভবত বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) এর সাইডলাইনে দেখা করবেন।
থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকটি ৩ থেকে ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
মোদী-ইউনূসের বৈঠকের দিকে সবার নজর
দু'পক্ষই সাইডলাইনে বৈঠক করছে ধারণা করা হচ্ছে, তবে এখন পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত করা যায়নি, একজন কর্মকর্তা অর্গানাইজারকে বলেছেন। মূল শীর্ষ সম্মেলনটি ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এবং দুই পক্ষের মধ্যে ৩ এপ্রিল বৈঠকের সর্বোচ্চ সম্ভবনা রয়েছে।
যদি বৈঠকটি হয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটাই হবে দুই নেতার মধ্যে প্রথম আলাপ।
প্রধানমন্ত্রী মোদির আগে গত বছরের ৩-৪ সেপ্টেম্বর শীর্ষ সম্মেলনের জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। তবে থাইল্যান্ডের কিছু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কারণে তখন বৈঠকটি স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশ-ভারতের বর্তমান সম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে বৈঠকটি উভয় পক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ।
যদি বৈঠকটি হয়, তাহলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপর জোর দিবেন।
মোদী জোর দিয়ে বলবেন বাংলাদেশের নেতাদের জানাবেন বাংলাদেশের সমস্যার জন্য ভারতকে টার্গেট করা এবং দোষ দেওয়া বন্ধ করা উচিত।
হাসিনার পতনের পর থেকে ব্যাপক আস্থার ঘাটতি দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে।প্রতিবেদন আরো বলছে,যদি এটি বন্ধ না হয়, তবে সম্পর্ক সর্বদা উত্তেজনাপূর্ণ থাকবে।তাছাড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য শান্তির গুরুত্বের ওপরও জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে ভারতের পক্ষ থেকে কোন আপোস করা হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিবেদনটি।
নয়াদিল্লি জোর দেবে গণতন্ত্র এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে, বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে যে শান্তি ফিরে আসবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ফুয়াদ