ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধানের বক্তব্য 

স্বৈরাচারের পুনরুত্থান রোধে প্রয়োজন সংস্কার

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ১ মার্চ ২০২৫

স্বৈরাচারের পুনরুত্থান রোধে প্রয়োজন সংস্কার

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, সুজন, গতকাল একটি প্রাসঙ্গিক বক্তব্যে দেশের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমি কোনো সরকারি কর্মকর্তা নই, বরং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এই দায়িত্বটি গ্রহণ করেছি।”

সুজন আরও বলেন, “গত আগস্ট মাসে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর যে গণ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তা শুধুমাত্র একজন ক্ষমতাশালী নেত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ছিল না। বরং এর মাধ্যমে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা, পদ্ধতি, প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।”

তিনি জাতির উদ্দেশ্যে আরও বলেন, “আমাদের কাছে মূল দাবিটি ছিল, যারা প্রায় দুই হাজার নাগরিককে হত্যা করেছে এবং তিরিশ হাজারেরও বেশি নাগরিককে আহত করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা। নির্বাচনী ব্যবস্থা, সাংবিধানিক কাঠামো, ক্ষমতার কাঠামো—এগুলো সকলের পরিবর্তন দরকার।”

সুজন বলেন, “নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার হলে, রাজনৈতিক অঙ্গন ও নির্বাচনী অঙ্গনকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিরা অতীতে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের বিতাড়িত করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।”

তিনি আরও জানান, “বিনা সুষ্ঠু নির্বাচনকে ঠেকাতে এবং স্বৈরাচারের পুনরুত্থান রোধে আমাদের এই সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।”

সূত্র : https://www.facebook.com/share/v/19sHyqzy8P/

এছাড়া, সুজন স্পষ্ট করেছেন যে কিছু অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, বিশেষত সুজনকে বিদেশী সাহায্য গ্রহণকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যা তিনি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এটি একেবারেই মিথ্যা এবং কোনো সত্যতার ভিত্তি নেই।”

শেষে, সুজন আশা প্রকাশ করেন যে, জনগণ সচেতন হয়ে এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করবে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে আমাদের এই সংস্কার প্রক্রিয়া জরুরি।”

 

রাজু

×