ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

শেখ হাসিনা পতনের দাবি পরিকল্পনা হয় যেভাবে: সাদিক কায়েমের বিবরণ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০১, ১ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৩:১০, ১ মার্চ ২০২৫

শেখ হাসিনা পতনের দাবি পরিকল্পনা হয় যেভাবে: সাদিক কায়েমের বিবরণ

ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।  ছবিঃ সংগৃহীত

পুরো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় বলে জানিয়েছেন ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।  

সাদিক বলেন, ‘আমরা পুরো আন্দোলনটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে পারি। প্রথমত ৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একটি স্টেপ ছিলো, ১লা জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত আরেকটি স্টেপ ছিলো, আবার ১৪ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত একটি স্টেপ ছিলো। এরপর ১৯ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত একটি স্টেপ, ২৬ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত একটি স্টেপ, এবং ২ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত একটি স্টেপ।’

ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকাকালীন কিভাবে সমন্বয় করতেন জানতে চাইলে সাদিক বলেন, ‘ভিপিএন ডাউনলোড করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। ফলে ১৭ তারিখ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং গায়েবানা জানাযা এবং কফিন মিছিলে যখন নির্লজ্জভাবে খুনী হাসিনা হামলা করলো, পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করছিলাম এ আন্দোলনে কি করা যায়? তখন আমরা চিন্তা করলাম এই আন্দোলনটি আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে দিবো।’
তিনি জানান, শহীদদের রক্ত বৃথা না যেতে দেওয়ার জন্যই তারা পরবর্তীতে সকল সমন্বয়করা একত্রিত হয়ে ৯ দফা তৈরি করেন। তবে ততক্ষণে আন্দোলন আর সমন্বয়কদের হাতে ছিলো না, জনগণের হাতে চলে আসে। 
মাঝে ১ দফা দাবি উত্থাপন নিয়ে দ্বিধা তৈরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাদিক বলেন, ‘এখানে অনেকগুলো অংশীদার ছিলো। ভবিষ্যতে ইতিহাসে এগুলো বেরিয়ে আসবে। মূলত ১৯ জুলাইয়ের পর থেকেই মুক্তিকামী জনতা রাস্তায় নেমে পড়েছিলো। তখন কে সমন্বয়ক, কে নেতা সেটা দেখার সময় ছিলো না। মূলত ১ তারিখের পর থেকেই এক দফা আন্দোলনটা শুরু হয়ে যায়৷ যে ৯ দফা ছিলো তার প্রথম দফাই ছিলো ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে খুনী হাসিনাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’

মুমু

×