
.
লাখো তরুণের উচ্ছ্বাসে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ জাতীয় সংসদের সামনে থেকে শুক্রবার নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটেছে। চব্বিশের দুই হাজার শহীদ পরিবারের পক্ষে নতুন দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র নাম ঘোষণা করেন, শহীদ মো. ইসমাইল হাসান রাব্বির বোন মিম আক্তার। তিনি বলেন, আপনাদের মনে আছে, গত ৫ আগস্ট দুই বোনের কাঁধে ভাইয়ের লাশ। সে দুই বোনের মধ্যে আমি একজন। ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটে নাই। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলের নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণা করছি। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকবেন নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেন।
এরপর হাসিনা সরকারের পতনের এক দফার ঘোষক ও নতুন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এই ঘোষণাপত্রে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠাকে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য গণপরিষদ নির্বাচনের পর নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে চায় নতুন দলটি। ঘোষণাপত্রে নাহিদ বলেন, আমরা মনে করি, জুলাই ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াই সূচনা করেছে। একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলা ও তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করা হবে আমাদের রাজনীতির অগ্রাধিকার। এর মধ্য দিয়েই কেবল আমরা একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারব।
আমাদের রিপাবলিকে সাধারণ মানুষ, একমাত্র সাধারণ মানুষই হবে ক্ষমতার সর্বময় উৎস। তাদের সকল ধরনের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের শক্তিশালী সুরক্ষাই হবে আমাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারত-পাকিস্তানপন্থির কোনো ঠাঁই হবে না। আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে রাষ্ট্রকে বির্নিমাণ করব। আমরা সামনের কথা বলতে চাই। পেছনের ইতিহাস অতিক্রম করে সম্ভাবনার বাংলাদেশের কথা বলতে চাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘তুমি কে, আমি কে, বিকল্প, বিকল্প’ স্লোগানটি তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, বিকল্পের জায়গা থেকে এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ। আজকের মঞ্চ থেকে শপথ, বাংলাদেশকে বিভাজিত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা হাজার বছরের ঐতিহাসিক পরিক্রমায় বঙ্গীয় বদ্বীপের জনগোষ্ঠী হিসেবে এক সমৃদ্ধ ও স্বকীয় সংস্কৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের পত্তন ঘটে। তবে শোষণ ও বৈষম্য থেকে এ দেশের গণমানুষের মুক্তি মেলেনি। ফলে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশের জনগণকে বারবার গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। ১৯৯০ সালে ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সামরিক স্বৈরাচারকে হটিয়েছে। তথাপি, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়েও আমরা গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে পারিনি। বরং বিগত
১৫ বছর দেশে একটি নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল, যেখানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে বেপরোয়া ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিরোধী মতের কণ্ঠরোধ, গুম, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকান্ড, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকে একটি রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিতে পরিণত করা হয়েছে।
জুলাই ২০২৪-এ ছাত্র-জনতা বিপুল আত্মত্যাগের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি সরকার পতন করে আরেকটি সরকার বসানোর জন্যই ঘটেনি। জনগণ বরং রাষ্ট্রের আষ্টেপৃষ্ঠে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাক্সক্ষা থেকে এই অভ্যুত্থানে সাড়া দিয়েছিল, যেন জনগণের অধিকারভিত্তিক একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠিত হয়। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিচ্ছি। এটি হবে একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল। আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ চাই যেখানে সমাজে ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের বদলে ঐক্য, প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদ- প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না।
অর্থনীতিতে, আমরা কৃষি-সেবা-উৎপাদন খাতের যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে এমন একটি জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই যেটি হবে স্বনির্ভর, আয়-বৈষম্যহীন ও প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীল। আমাদের অর্থনীতিতে সম্পদ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে পুঞ্জীভূত হবে না, বরং সম্পদের সুষম পুনর্বণ্টন হবে আমাদের অর্থনীতির মূলমন্ত্র। আমরা বেসরকারি খাতের সিন্ডিকেট ও গোষ্ঠীস্বার্থ নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ভোক্তা ও জনস্বার্থ সংরক্ষণ করব। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাধ্যমে এই অঞ্চলের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করব এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতে জোর দিয়ে উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি টেকসই, আধুনিক অর্থনীতি গড়ে তুলব।
পরিশেষে, আমরা একটি ন্যায্যতা ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংকল্প আবারও পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জুলাই ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধেই বিজয় নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণেরও শপথ। চলুন আমরা একসঙ্গে, হাতে হাত রেখে, এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি যেখানে প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হবে, যেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকারের সংগ্রামই হবে রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য। যেখানে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি। এখনই সময় নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথচলার, এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার!
এই নতুন বাংলাদেশ গড়ায় আমরা সবাই প্রত্যেকে যার-যার অবস্থান থেকে শপথ করি। ঐক্যবদ্ধ হই। এবং আমাদের কাক্সিক্ষত সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাই। আমাদের দেশ, আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক অধরা কোনো স্বপ্ন নয়, এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা!
নতুন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, সারাদেশের মানুষের কাছে আহ্বান থাকবে, আজকের তরুণরা যে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে, আপনারা সবাই দোয়া করবেন। যেন, সৃষ্টিকর্তা তরুণদের স্বপ্নকে বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারে। বাংলাদেশে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তরুণরা যাতে এই খুনি, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার করতে সক্ষম হয়। ৫৪ বছর পরে আমরা যে সুযোগ পেয়েছি। একটি নতুন সংবিধানের বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। তরুণরা স্বপ্ন দেখে আগামীর বাংলাদেশ নতুন সংবিধানের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানান আখতার।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশের গণভবনে কে যাবে, তা ভারত থেকে ঠিক হবে না। নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ থেকে। কারা সংসদে যাবেন, তা ঠিক করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া জনতা। মসনদে কে বসবে, এই ভূখ-ের মানুষ তা নির্ধারণ করবে। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিভাজনের রাজনীতি জিইয়ে রাখা হয়েছে। বিভাজনের এই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমরা একতার রাজনীতি করব। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে গঠন করব। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ৫৩ বছরে আমরা জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে গিয়েছে। আমরা স্বাধীন পুলিশ, বিচার বিভাগ গড়তে পারিনি। একটি স্টেট গড়তে পারিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে চলেনি। আমরা তরুণরা এই বাংলাদেশকে গঠন করব। প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রপারলি ফাংশন করব।
তিনি আরও বলেন, বিদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু কোনো প্রেসক্রিপশনের সম্পর্ক থাকবে না। আমাদের ছেলেরা যখন রক্ত দেওয়া শিখে গিয়েছে, তখন তাদের কেউ দমাতে পারবে না। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের তেজোদীপ্ততা নিয়ে আমরা পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এ দেশে পরিবারতন্ত্রের কবর হয়েছে। এ দেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব উঠে আসবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে মত ও দ্বিমতের স্বাধীনতা থাকবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, এই মঞ্চ থেকে আমরা শপথ নিতে চাই, এই ছোট জীবনে এত বড় দায়িত্বের আমানতকে যেন আমরা খেয়ানত না করি। আমরা যদি বাংলাদেশকে সুসংগঠিত করতে চাই তাহলে আমাদের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলে আগামীর বাংলাদেশ হবে ঐক্যের বাংলাদেশ। হাসিনা এদেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংগঠিত করতে হবে। খুনি হাসিনার বিচার আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে করতে হবে। কোনো অপরাধীর মুক্তির জন্য আমরা যেন থানায় না যাই।
তিনি বলেন, যারা বড় রাজনৈতিক দল রয়েছে, তারা যদি ছোট দলকে এগিয়ে যেতে না দেয় তাহলে আবার একটি স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে পারে। খুনি হাসিনাকে দেখে যেন আমরা সেই শিক্ষা নিতে পারি। আমরা দেশ এবং জাতিকে সবার ওপরে রেখে যেন আমরা নতুন ও সাম্যের বাংলাদেশ গঠন করতে পারি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও নতুন রাজনৈতিক দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ৪০০ থানায় পৌঁছে কমিটি দিয়েছে। অবশেষে সবার সহযোগিতায় আজ ঐতিহাসিকভাবে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি। এই চলার পথে জুলাই অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগকারী শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারাসহ যারা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও তাদের আত্মত্যাগকে স্বীকার করছি। আগামীতে আমরা সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করব। নাসির বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে যে দলটি আসতে যাচ্ছে, তাদের এই পথচলায় যারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন আপনারা। বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে আগামীতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির এই নেতা। সবশেষে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য শেষ করেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।
নতুন দলে নেতৃত্বে যারা: তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দলটির সদস্য সচিব পদে রয়েছেন আখতার হোসেন। নতুন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদিব, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তানসিম জারা, নাহিদা সরওয়ার নিভা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান মাসউদ।
যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, মনিরা শারমিন, মাহবুব আলম, সরোয়ার তুষার, মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, তাসনুভা জেবিন, সুলতান মো. জাকারিয়া, আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দিন মাহাদী, অর্পিতা শ্যামা দেব, তানজিল মাহমুদ, অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ নাসিম, এহতেশাম হক এবং হাসান আলী। যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, আরিফ সোহেল, রশিদুল ইসলাম রিফাত, মাহিন সরকার, নিজাম উদ্দিন, আকরাম হোসেন সিএফ, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, সালেহ উদ্দিন সিফাত।
দপ্তরে সংযুক্ত আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, ফরিদ উদ্দিন, ফরহাদ আলম ভুঁইয়া, মিরাজ মিয়া, লুৎফর রহমান, মঈনুল ইসলাম তুহিন, মুশফিক-উস সালেহীন, জাহিদুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম মুসা, হুমায়ুরা নূর, মুশফিকুর রহমান জোভান, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, সাগুফতা বুশরা মিশমা, আহনাফ সাঈদ খান, আবু সাঈদ মো. সুজাউদ্দিন, মীর আরশাদুল হক, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, তারেক রেজা, মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন শিশির, মুনতাসির রহমান, গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর, তামিম আহমেদ এবং তাহসিন রিয়াজ।
দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, ডা. মাহমুদা মিতু, মোল্লা রহমতউল্লাহ, এসএম শাহরিয়ার, জোবায়ের আরিফ, উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, আলী নাসের খান, সাকিব মাহাদী, মেজর (অব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাদিয়া ফারজানা দিনা, অলিক মৃ, হানিফ খান সজীব।
যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারী তারিকুল ইসলাম, যুব উইং ডা. আবদুল আহাদ, দিলশানা পারুল, আবু হানিফ, আবদুস জাহির, মাজহারুল ইসলাম ফকির, গোলাম মুর্তুজা সেলিম, আশেকীন আলম, ডা. জাহিদুল বারী, কৈলাশ চন্দ্র দাস, ডিম্পালী ডেভিড রাজু, শাহ মঈনুদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির আংশিক কমিটি ঘোষণার কথা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করব।
অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, বিকল্পধারার নেতা মেজর (অব) আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের সহসভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ও বাংলাদেশ খেলাফত মসলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের প্রমুখ।