
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একে অপরকে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত। বিশেষত, ভারত, পাকিস্তান কিংবা সিআইএ’র এজেন্ট হিসেবে কাউকে ট্যাগ করে দেওয়া যেন একপ্রকার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষক ফাহাম আব্দুস সালাম এই প্রবণতার কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, “দেশে ভারতপন্থী লোক হাজার হাজার আছে, তবে তারা ‘র’ (RAW) এর এজেন্ট নয়।”
তিনি উল্লেখ করেন, সাধারণত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ছোট করার জন্য এই ধরনের ট্যাগিং করা হয়, যা মূলত হিংসা ও প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। কেউ ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে ভারতীয় এজেন্ট বলা হয়, কিন্তু এই ধারণার পেছনে কোনো বাস্তবতা নেই। বরং বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে বেশি সুবিধা গেছে, উল্টোটা নয়।
ফাহাম আব্দুস সালাম আরও বলেন, “RAW এজেন্টের সংজ্ঞা অনুযায়ী, একজন এজেন্টকে সংগঠন থেকে অর্থসহ অন্যান্য সুবিধা পেতে হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহল ভারতকে অর্থ প্রদান করেছে, এবং সেই অর্থের বিনিময়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে।”
তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক চাপ হয়তো কৌশলের মাধ্যমে সাময়িকভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব, তবে অর্থনৈতিক বাস্তবতা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। বিনিয়োগ ও বাজার স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন। এই কারণেই ব্যবসায়ী মহলও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে, তারা কোনো নির্দিষ্ট দলের পক্ষপাতী নয়।
ফাহাম আব্দুস সালাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কার্যকারণ বোঝার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “বাঙালির মধ্যে অপরকে ছোট করার এক ধরনের প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র ট্যাগিং আর গালাগালি দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। বরং পরিস্থিতির গভীরে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আজকের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মূল কারণ হলো বিনিয়োগ কমে যাওয়া, বেকারত্ব বৃদ্ধি, এবং বাজারে নগদ অর্থের ঘাটতি। এই বাস্তবতা বাংলাদেশ সরকারের নীতিনির্ধারকদের বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/164h8N1a15/
মারিয়া