
ছবি: সংগৃহীত
দেশের প্রায় সর্বত্র বোতলজাত সয়াবিন তেল চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)। একইভাবে চিনি, খেজুর, মসলা ও ফলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে।
তিনি জানান, গতকালের প্রকাশিত খবর থেকে দেখা যায় যে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার—খাতুনগঞ্জ, চাকতাই, ফলের আড়ত এবং স্টেশন রোডের ফলমন্ডিতে ভোজ্য তেলসহ চিনি, পেঁয়াজ, আলু, খেজুর ও ছোলাসহ প্রচুর পণ্য মজুত রয়েছে। এতে পণ্যের দাম কমতির দিকে রয়েছে, যা ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির বিষয়।
বছরে খেজুরের মোট চাহিদা ৯০ হাজার টন, যার মধ্যে রমজান মাসে প্রায় ৫০ হাজার টনের চাহিদা থাকে। এ চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। রমজান মাসে চিনির চাহিদা তিন লক্ষ টনের মধ্যে ইতোমধ্যে আড়াই লক্ষ টন আমদানি হয়েছে, যা মোট চাহিদার ৮৫ শতাংশ।
এছাড়া, রমজানে ভোজ্য তেলের চাহিদা তিন লক্ষ টন থাকলেও এরই মধ্যে ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার টন আমদানি করা হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। ফলে বাজারে তেলের কোনো সংকট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রমজানে পণ্যের কোনো ধরনের সংকট হবে না বলে আমরা অবহিত হয়েছি। কেবলমাত্র ভোজ্য তেলের বিষয়ে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে, কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ভোজ্য তেল আমদানি হলেও কিছু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে বলে মনে হচ্ছে।
রমজান উপলক্ষে বাজার তদারকি বাড়ানো হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তদারকি টিমের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে, যা ৩০ থেকে ৬০-এ উন্নীত করা হয়েছে। সারা বছরে যে পরিমাণ মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
শিলা ইসলাম