
এক টকশোতে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুল ইসলামের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কথা বলেছেন বিডিআর বিদ্রোহ, বিভিন্ন অসঙ্গতি এবং কীভাবে মিডিয়া পরিস্থিতিকে উপস্থাপন করেছিল তা নিয়ে মিডিয়ার দায় সম্পর্কে।
বিডিআর বিদ্রোহকালীন সময়ের কথা স্মরণ করতে গিয়ে কর্নেল শামসুল ইসলাম জানান,"পিলখানায় একটা ঘটনা ঘটছে গন্ডগোল হচ্ছে টেলিভিশনে দেখাচ্ছে তো আমরা দৌড়ে গেলাম টেলিভিশনের সামনে তখন ফাস্ট উই স ইন দা স্ক্রল দ্যাট পিলখানায় গোলাগুলি হচ্ছে সামথিং লাইক দ্যাট।"
শামসুল ইসলাম বলেন,"এটা সম্ভবত ৯ টা বা তার কিছু সময় পর। আমাদের যেহেতু বন্ধুরা ছিল পিলখানাতে আমরা সবাইকে টেলিফোন করা শুরু করলাম। টেলিফোন পাওয়া শুরু করলাম তখন তারা বলল যে,আমাদের আমরা বিপদে আছি, আমাদেরকে সৈনিকরা ঘিরে ফেলেছে, আমাদেরকে হেল্প করো।আস্ক আর্মি টু সেন্ড ফোর্স।”
“তো আমরা যেখানে পারলাম কথা বলার চেষ্টা করলাম।অবশ্যই একটা বড় দায় হচ্ছে যে আমরা ফেইল করেছি আমাদের পিলখানার অফিসারদেরকে বাঁচাতে।"
তিনি আরো জানান,"এই ঘটনাটা ঘটার অলমোস্ট জাস্ট এবাউট আওয়ার অর সো আমাদের কিন্তু ফোর্স পৌঁছে গেছিল। প্রথমে র্যাবের দুইটা দুইটা র্যাব ব্যাটালিয়নের দুইটা এলিমেন্টস সেখানে পৌঁছে যায়। আর তারও কিছুক্ষণ পরে কিন্তু ফোর্সেস ব্রিগেডের একটা ব্যাটালিয়নের একটা যারা বোধহয় ফায়ারিং এ যাচ্ছিল তো দে ওয়ার রেডি তারা চট করে ওখানে পৌঁছে গিয়েছিল।"
"কিন্তু এই পুরাদিন ইনফ্যাক্ট ২৬ তারিখ বিকাল বা সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যন্ত কোন ট্রুপসকে এলাও করা হয় নাই ভেতরে যাওয়ার। এবং আমরা অত্যন্ত কষ্টের সাথে, বেদনার সাথে দেখলাম যে ভেতরে এত কিছু হচ্ছে কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না।"
বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির মেজর হাফিজের একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন,"আজকে মেজর হাফিজ বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির যে একজন সদস্য মেজর হাফিজ উনি একটা খুব একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন উনি ৭১ এর এক্সাম্পল দিলেন যে আমরা যখন ফার্স্ট ইস্ট বেঙ্গল যখন চারিদিকে ঘেরাও হয়ে গেল, বাই দি পাকিস্তানি ট্রুপস ইন ইন যশোর তারা ২৫ জন ব্রেকআউট করলো ফায়ার করতে করতে।"
তিনি জানান,"একটা বিদ্রোহ যখন হয় একটা বিদ্রোহ হলে আমাদের সামরিক আইন অনুযায়ী যে কেউ ছুটিতে থাকাকালীন অবস্থিত বিদ্রোহের ঘটনা শুনে তার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্রোহটাকে দমানোর চেষ্টা করা। এখানে কোন আইন কানুনের দরকার নাই, আদেশের দরকার নাই। নেসেসিটি নোজ নো ল।সেখানে আমাদের সেনাপ্রধান চলে গেলেন কোথায় যমুনাতে। যমুনাতে তাকে কল করে ডাকা হয়েছিল এরকম একটি বলেছেন এবং উনি উনার দায়িত্বটা তুলে দিলেন শেখ হাসিনার কাছে। আর শেখ হাসিনাও খুব ক্লেভারলি বাহিনীর প্রধানদেরকে ওখানে আটকে রাখলো আওয়ারস।"
"এবং ক্লিয়ারলি সে যে নোবডি ক্যান অপারেট নোবডি ক্যান এন্টার ইনটু। এবং তারও আরো দুঃখজনক আমরা দেখি দরবার হল দরবার হলের হ্যাঁ দরবার মানে পিলখানা ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। বিকালের মধ্যে ট্যাংকও চলে আসলো এপিসি তো আগেই এসেছিল এপিসি গুলা ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে উই হ্যাড হিউজ ফায়ার পাওয়ার একচুয়ালি এবং একটা বিদ্রোহ সো কল্ড যে বিদ্রোহটা শুরু হয়েছিল এটা যদি প্রথমেই ইনফিল্ট্রেট করে প্রথমেই যদি এটা এটা ট্যাকেল করা যেত খুব কুইকলি এটাকে কোয়েল করা যেত কারণ বিডিআররা কিন্তু সময় নিয়েছে।"
একটি সংকটজনক হোস্টেজ পরিস্থিতিতে মিডিয়ার ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন,"এখানে অনেকগুলা মিডিয়ার দায় আপনারা দেখেছেন। এটা হোস্টেজ এরকম একটা ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে কিন্তু মিডিয়া এভাবে যেভাবে প্রপাগেড শুরু করলো এগেন্স্ট আর্মি অফিসারস, তারা কাভারেজ দিচ্ছিল বিডিআর বিদ্রোহীদেরকে।"
মুন্নি সাহার কথা বলেন তিনি,তিন নাম্বার গেটে ছিলো। তিনি বলেন,“পৃথিবীর কোথাও কিন্তু এ ধরনের হোস্টেজ সিচুয়েশনে ইউ ডোন্ট টেক এ সাইড ইমিডিয়েটলি। এটা করতে পারেন তাই না, একপাক্ষিক নিউজগুলো হচ্ছিল বারবার।"
"তার মানে বুঝা গেল যে এখানে একটা ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের যে যারা যারা শাসন ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা এবং তার ক্লোজ অ্যাসোসিয়েট তারা একটা মিডিয়ার একটা পার্ট।"
এখানে জাতির জন্য বিচার আমরা দেখতে পারবো কি পারবো না বিচার আমরা নাকি রিকনসাইল করবো সেটা পরের বিষয় বাট আমাদের জাতির জন্য সবচেয়ে দায়মুক্তির একটাই উপায়, সেটা হচ্ছে এই ঘটনা সঠিক তদন্ত।"
সূত্র:https://tinyurl.com/38874j62
আফরোজা