ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১

গণশুনানিকালে তীব্র প্রতিবাদ ব্যবসায়ীদের

শিল্পে গ্যাসের দাম ফের আড়াইগুণ বাড়াতে চায় সরকার

স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শিল্পে গ্যাসের দাম ফের আড়াইগুণ বাড়াতে চায় সরকার

শিল্পে গ্যাসের দাম ফের বাড়াতে চায় সরকার

নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে ২০২৩ সালে নির্বাহী আদেশে শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে তিনগুণ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম বৃহৎ শিল্পে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়। ক্যাপটিভে ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়। এর পর গত বছর ক্যাপটিভে প্রতি ইউনিটে আরও ৭৫ পয়সা দাম বাড়ানো হয়। তবে দুই বছর পরও শিল্পে গ্যাস সংকট কাটেনি।

এ অবস্থায় সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলে আবারও গ্যাসের দাম আড়াইগুণ বাড়াতে চায় সরকার। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে পেট্রোবাংলার পাঠানো প্রস্তাবনায় প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বুধবার শুরু হয়েছে গণশুনানি। কিন্তু শিল্প খাতে সরকারের এই দ্বিচারিতার নীতির তীব্র প্রতিবাদ করছেন ব্যবসায়ীরা।

এমনকি শুনানি চলাকালেও তারা বিক্ষোভ স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, এই সিদ্ধান্ত শুধু নতুন শিল্পকারখানার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে পুরাতনদের ছাড় দেওয়া হবে মূল্যে। যে প্রস্তাবটি সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা। এতে দেশের চলমান শিল্পোন্নয়ন থমকে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির (জিটুজি) আওতায় এবং স্পট মার্কেট থেকে (উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে) এলএনজি আমদানি করে আসছে বাংলাদেশ। জিটুজি চুক্তিতে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়, যে কারণে ওই দর প্রকাশ করা হয় না। তবে গত আগস্ট মাসে স্পট মার্কেটের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ঘনমিটারের দাম পড়েছে ৭১ টাকা।

প্রস্তাবিত ফর্মুলা অনুমোদিত হলে প্রতিশ্রুত গ্রাহককে তার ব্যবহৃত অর্ধেক গ্যাসের জন্য ঘনমিটারপ্রতি প্রায় ৬০ টাকার মতো পড়তে পারে। অর্ধেকের জন্য বিদ্যমান দর ৩০ টাকা হারে দিতে হবে। নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ৬০ টাকা হারে বিল দিতে হবে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে শিল্পকারখানা ও ক্যাপটিভের নতুন সংযোগে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়। দর নির্ধারিত না করে আমদানিকৃত এলএনজির খরচ যত পড়বে সেই দর আদায় করতে চায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। জ্বালানি বিভাগ বলছে, পুরাতন শিল্প কারখানায় লোড বাড়াতে চাইলেও গুনতে হবে দ্বিগুণ মূল্য। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেলে দাম বাড়বে, আর কমে গেলে কমবে।

দুই ধরনের দর প্রস্তাব করা হয়েছে। অনুমোদিত (প্রতিশ্রুত) কিন্তু সংযোগ চালু হয়নি এমন গ্রাহকদের এক রকম দর, আর নতুন শিল্পে ভিন্ন দর নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। প্রতিশ্রুত গ্রাহকের অর্ধেক গ্যাসের দর হবে বিদ্যমান দরের সমান, আর অর্ধেকের জন্য আমদানি মূল্য। 
জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি শিল্পকারখানার বয়লার ও শিল্পকারখানার জেনারেটরে (ক্যাপটিভ) সরবরাহ গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। প্রস্তাবে বিদ্যমান গ্রাহকদের দর অপরিবর্তিত রাখার কথা বলা হয়েছে। বিইআরসি মূল্যায়ন কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই বুধবার গণশুনানি শুরু হয়েছে। রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে বিইআরসি কর্তৃক শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির শুনানি শুরু হয়।

প্রথমে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর পর বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানির পক্ষে তাদের উপস্থাপনা তুলে ধরেন। দুপুর ১২টায় শুরু হয় জেরা পর্ব। প্রথমেই জেরা করতে আসেন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, এই অযৌক্তিক প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া উচিত হয়নি। এইভাবে আমদানি করে শুধু জ্বালানি নয়, সব পণ্য আমদানি করে দেশটিকে আমদানি নির্ভর করে ফেলা হচ্ছে।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ভয়ংকর গণবিরোধী। এই প্রস্তাবের ওপর কোনো গণশুনানি হতে পারে না। এটি বন্ধ করতে হবে। এ সময় ‘প্রহসনের শুনানি বন্ধ করো, করতে হবে, মানি না, মানব না।’ এই স্লোগান দিতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
বক্তব্যের শেষে ৩ দফা দাবি জানিয়ে শামসুল আলম অবশিষ্ট পর্ব থেকে ওয়াকআউট করেন। তার বক্তব্যের পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য দিতে আসেন। আর তখনই কিছু শিক্ষার্থী ও শিল্প মালিকরা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন।

শিক্ষার্থীরা শুনানি বন্ধের দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বিইআরসি চেয়ারম্যান বারবার তাদের থামানোর চেষ্টা করলেও হট্টগোল চলতে থাকে। এ সময় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আগামী রবিবারের মধ্যে খারিজ করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, দাবি না মানলে এ আবেদন রূপ নিতে পারে আন্দোলনে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। 
এ বিষয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. জালাল আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, গণশুনানি শেষ হলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ব্যবসায়ীরা শুনানির প্রতিবাদ করছেন ঠিক আছে। কিন্তু দিনশেষে গ্রাহকস্বার্থ বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 
এদিকে শিল্পে গ্যাসের এই অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ক্যাব। গণশুনানির শুরুর দিন বুধবার সকালে শুনানি শুরুর আগে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিয়াম ফাউন্ডেশনের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়ায় সংগঠনটির সদস্যরা। তাদের দাবি, প্রহসনের শুনানি বাতিল করতে হবে। এসময় জানানো হয়, ক্যাবের পক্ষ থেকে এর আগে শুনানি বাতিল করার জন্য লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া না পেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিইআরসির কাছের ক্যাবের দাবিগুলো হচ্ছে, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সমন্বয়কৃত লুণ্ঠনমূলক ব্যয়ের সর্বমোট পরিমান নির্ধারণ করতে হবে এবং বিদ্যমান মূল্যহারে সমন্বয়কৃত লুণ্ঠনমূলক ব্যয় কমিয়ে মূল্যহার কমাতে হবে, জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য বিইআরসি আইন সংস্কার করতে হবে।
ভোক্তাদের প্রতি তারা আহ্বান জানিয়ে বলেন, লুণ্ঠনমূলক ব্যয় রোধ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যহার না কমিয়ে মূল্যহার বৃদ্ধির জন্য বিইআরসি শুনানিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী সকল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ফলে বিইআরসি’র গণবিরোধী এসব কার্যক্রমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং প্রতিরোধ করুন। রাজধানী, বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলুন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যান।
এ সিদ্ধান্তটি শিল্প খাতের জন্য দ্বিচারিতামূলক হলো কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান জনকণ্ঠকে বলেন, জ্বালানি খাতে আমাদের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এর থেকে বেড়িয়ে আসতে আমরা নানান পদক্ষেপ নিচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা গত ২৭ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের সভায় নীতিগত অনুমোদন পায়। এখন গণশুনানির মাধ্যমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। 
শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণিতে সম্ভাব্য নতুন গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা এলএনজি আমদানির মোট ব্যয় মূল্যে পরিশোধ করবেন। শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণিতে প্রতিশ্রুত (প্রাথমিক সম্মতিপত্র/চহিদাপত্র ইস্যুকৃত) গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে গ্রাহকগণ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যমান শিল্প/ক্যাপটিভ পাওয়ার শ্রেণির মূল্যে প্রাপ্য হবেন।

অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে এলএনজি আমদানির মোট ব্যয় মূল্যে দাম পরিশোধ করবেন। একইসঙ্গে শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণির বিদ্যমান গ্রাহক অনুমোদিত লোড অপেক্ষা অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে এলএনজি আমদানির মোট ব্যয় মূল্যে দাম পরিশোধ করবেন। তবে যেহেতু দাম বাড়ানো কমানোর ক্ষমতা আমাদের হাতে নাই তাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে বিইআরসি। 
পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড থেকে ১ টাকা দরে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি থেকে ১.২৫ টাকা দরে, বাপেক্স থেকে ৪ টাকা দরে প্রতি ঘনফুট গ্যাস কেনা হয়। এর পর বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ ও টাল্লোর কাছ থেকে কেনা গ্যাসের সংমিশ্রণে গড় দর দাঁড়ায় ৬.০৭ টাকা ঘনমিটার।

দেশীয় এসব উৎস থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে দৈনিক কমবেশি ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এলএনজি আমদানি থেকে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গড় মূল্য দাড়িয়েছে ২৪.৩৮ টাকা। আর গ্যাসের গড় বিক্রয় মূল্য ছিল ২২.৮৭ টাকা। এতে করে প্রতি ঘনমিটারে ১.৫৬ টাকা লোকসান হয়েছে পেট্রোবাংলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্পট মার্কেট থেকে আনা এলএনজির দাম পড়েছিল ৬৫ টাকা, যা আগস্টে (২০২৪) ৭১ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। 
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে (সরকারি ও আইপিপি) ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪.৭৫ টাকা ঘনমিটার এবং ক্যাপটিভ পাওয়ারে ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০.৭৫ টাকা ঘনমিটার করা হয়। তার আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও নির্বাহী আদেশে গ্যাসের দাম গড়ে ৮২ শতাংশ বাড়ানো হয়। তখন বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা করা হয়েছিল। আর ক্যাপটিভে ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল।
এক লাফে আড়াইগুণ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবকে আত্মঘাতী বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল জনকণ্ঠকে বলেন, উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই অন্তর্বর্তী সরকার গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে। তাহলে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার আর বর্তমানের অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে পার্থক্য কী থাকলো?
একই রকমভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ৭০-৭৫ টাকা কেন করা হবে? এতবড় সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কেন আলোচনা করা হলো না?
তবে ব্যবসায়ীরা সম্মতি দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্মতি জানিয়ে লিখিত দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর এরপরেই আগানো হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন শিল্পকারখানার মালিকরা বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হলে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা নতুন করে বিনিয়োগে আসতে চান তারা এ সিদ্ধান্ত মেনেই আসবেন।

নতুন দামের সঙ্গে নিজেদের সম্মত করেই বিনিয়োগ করবেন। তাই এ বিষয়ে কোনো ঝামেলা হবে বলে মনে হয় না। যারা পুরাতন তারা তো সুবিধা পাচ্ছেই। নতুনদের তো আর ভর্তুকি দিয়ে সংযোগ দেয়া যায় না। তাদেরকে এই নিয়ম মেনেই বিনিয়োগে আসতে হবে। 
দেশজুড়ে যখন নানাখাতে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে অন্তবর্তী সরকার ঠিক সেই মুহুর্তে নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কতটা যৌক্তিক হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠার জ্বালানি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ম তামিম জনকণ্ঠকে বলেন, এটা তো পেট্রোবাংলার একটি প্রস্তাবনা। এখনো দাম বাড়ে নি।

যাচাই-বাছাই শেষে দাম নির্ধারণ করবে বিইআরসি। তবে যদি দাম বাড়ে এক্ষেত্রে যেসব কারখানা এই দামে গ্যাস নিতে পারবে তারাই নেবে। তবে এক্ষেত্রে একটা অসম প্রতিযোগীতা হবে। এরা স্থানীয় বাজারে যেমন প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না তেমনি আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। দাম যদি বাড়ে তাহলেই বাজারে এর কি প্রভাব পড়বে না পড়বে এ বিষয়ে বলা যাবে।

×