ছবি: সংগৃহীত
ইসি আনোয়ার ইসলাম নির্বাচনের সময় নিয়ে বলেন, "প্র্যাকটিক্যালি দেখছেন যে আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করেছি ইতিমধ্যে এবং এখন রেজিস্ট্রেশন কাজ চলছে পুরোদমে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে যে সারারাত্রই এই কাজটি চলছে। আমরা আশাবাদী সাড়া পাচ্ছি যে এদেশের মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী বলেই তারা উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে এই ভোটার হওয়ার জন্য কষ্ট করছেন।"
তিনি আরও বলেন, "মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা গত ১৬ই ডিসেম্বর বক্তৃতায় বলেছেন, ডিসেম্বরে অথবা ২০২৬ এর জুন নাগাদ ইলেকশন হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি হয় কিছু সংস্কার করে ডিসেম্বরে হবে। আর আর যদি বড় ধরনের সংস্কার করতে হয় সেটি আগামী বছর জুনের মধ্যে হবে। আমরা সেই ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই আমাদের নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করছি এবং আমরা বিশ্বাস করি ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব হবে।"
জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচন কোনটি আগে হবে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এখানে আপনারা খেয়াল করবেন স্থানীয় নির্বাচন বলতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন এই সবগুলো নির্বাচন যদি আমরা শুরু করি তাহলে প্রায় এক বছর সময় লাগবে। তাহলে পরে আমাদের যেই সময়ের ঘোষণা, ডিসেম্বরের ভিতরে যদি আমরা করতে চাই তাহলে হয়তোবা এই টাইম লাইনের ভিতরে থাকা সম্ভব হবে না। আমরা ডিসেম্বর কে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি। আমরা প্রস্তুত, ইনশাআল্লাহ। আমরা ডিসেম্বরের নির্বাচন করতে পারব। আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ যে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড এটি একটি অন্যান্য সময়ের তুলনায় আরো অনেক উন্নতি হবে এবং নির্বাচন করার মত পরিবেশ আমরা ডিসেম্বরের ভিতরে ইনশাআল্লাহ পাবো। আসন বিন্যাসের বিষয়টি একটি কঠিন কাজ তারপরও আমাদের প্রায় ৪০০-এর মত আবেদন আছে। সেই আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে হলে যে বর্তমান যেই বিদ্যমান ডিলিমিটেশন আইন সেটিকে সংশোধন করতে হবে এবং সেই আইন সংশোধনের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আইনটা সংশোধন হলে পরে আমরা এই কাজটি করব।"
আবীর
