ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১

ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত: ১৮:২২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই: সেনাপ্রধান

সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান

২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে মঙ্গলবার আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানান, ‘ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। আজকে এই দেশের ক্রান্তিলগ্নে সমস্ত বাহিনী, সমস্ত অর্গানাইজেশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খালি সেনাবাহিনী টিকে আছে, বিমানবাহিনী টিকে আছে, নৌবাহিনী টিকে আছে। কেন? বিকজ অব ডিসিপ্লিন।’

সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্য আরো বলেন, আজকে একটা বেদনাবিধুর দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে, শুধু তাই নয় আমরা কিছু পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। অনেকে ছবিতে দেখেছেন, তবে আমি এ বর্বরতার চাক্ষুষ সাক্ষী। একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনা সদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআরের সদস্য দ্বারা সংগঠিত।

ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই। এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে, ১৬-১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা সাজাপ্রাপ্ত। সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না।

যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভলভ ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলভ ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। উনি এটা বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন।

বোটম লাইন হচ্ছে, আমাদের এই সমস্ত চৌকস যেসব সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা নিজেরা এই সমস্ত জিনিস নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছি। কেউ কেউ এই জিনিসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

আজকে আমি যে উপদেশ আপনাদের দিয়ে যাব, সেটি যদি আপনারা গ্রহণ করেন, আপনারা লাভবান হবেন। আমি এটা আপনাদের নিশ্চিত করছি। আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমরা নিজেরা ইউনাইটেড থাকি। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, কোনো ব্যত্যয় থেকে থাকে, কোনো গ্রিভলসেন্স থেকে থাকে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধা করব। এটার জন্য ডানে-বায়ে দৌঁড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। নিজের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে না। আমি আপনাদের এই জিনিসটা নিশ্চিত করে দিচ্ছি।

কিছু কিছু সদস্যদের দাবি, যে তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন শাস্তি পেয়েছেন। কেউ কেউ দায়ী করছেন যে, তারা অযাচিতভাবে শাস্তি পেয়েছেন। এটার জন্য আমি একটা বোর্ড করে দিয়েছি। একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেই বোর্ডের সদস্য। প্রথম ফেজে ৫১ জন সদস্যের ব্যাপারে আমার কাছে রিকমেন্ডেশন নিয়ে এসেছে। আর রিকমেন্ডেশনের অধিকাংশই আমি গ্রহণ করেছি। এবং আরও বেশি আমি দিয়েছি। নেভি-এয়ার ফোর্সও তাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

আমার স্ট্যান্ডপয়েন্ট হচ্ছে, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, সেটার জন্য কোনো ছাড় হবে না। বিন্দুমাত্র ছাড় নাই। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে দিচ্ছি। ইট ইজ এ ডিসিপ্লিন ফোর্স। ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। আজকে এই দেশের ক্রান্তিলগ্নে সমস্ত বাহিনী, সমস্ত অর্গানাইজেশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খালি সেনাবাহিনী টিকে আছে, বিমানবাহিনী টিকে আছে, নৌবাহিনী টিকে আছে। কেন? বিকজ অব ডিসিপ্লিন।

তার পরে আমি আমার অফিসারদের আদেশ দিয়েছি, যদি সামান্যতম কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকে। কারও বিরুদ্ধে যে অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে, অপরাধী কি না তা সামান্যতম সন্দেহের অবকাশ যদি থাকে, সেটা তাদের ফেবারে যাবে। সেটা হচ্ছে আমার ঢালাও নির্দেশ। সেই হিসেবে বিভিন্ন প্রস্তাব আমার কাছে এসেছে। কোনো কোনো প্রস্তাবে আমি আমার নিজে থেকে যোগ করে আরও বেশি আমি নিয়েছি।

এভাবে পর্যায়ক্রমে অফিসারকে আসবে এবং তাদের এই জিনিসগুলো আমরা দেখব। দেখে যদি মনে হয় যে, তাদেরকে কিছু করার অবকাশ আছে, অবশ্যই আমরা করব। এটা ন্যায়-নীতিতে আমরা প্রতিষ্ঠিত থাকব, ইনশাআল্লাহ।

আপনারা কিছু মনে করবেন না। আজকে আমি একটু পরিষ্কার করে কথা বলতে চাই। আপনাদের সবার হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, আমার এটা যদি আপনারা গ্রহণ করেন, আপনারা লাভবান হবেন। কোনো ক্ষতি হবে না দেশের। আমার আর কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা, দেশ এবং জাতিটাকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে ছুটি করা। আই হ্যাড এনাফ, লাস্ট সিক্স সেভেন মান্থ আই হ্যাড এনাফ। আমি চাই দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসব।
 
আরেকটি জরুরি বিষয়, যেটা আমি ভাবলাম যে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। দেশের এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণটা হচ্ছে যে, আমরা নিজেরা হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত। একজন আরেকজনের বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা একটা চমৎকার সুযোগ অপরাধীদের জন্য। যেহেতু আমরা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, তারা খুব ভালোভাবেই জানে যে, এই সময় যদি এই অপরাধ করা যায়, তাহলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সেই কারণে এই অপরাধগুলো হচ্ছে। আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্রিত থাকি–তাহলে সহজেই এটা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

পুলিশ-র‍্যাব–বিজিবি-ডিজিএফআই-এনএসআই–এগুলো দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে অতীতে। আর আপনাদের সাথে অত্যন্ত ভালো কাজ করেছে। আজকে দেশের স্থিতিশীলতা, দেশটা  এত বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে, এসব বাহিনীর বহু সেনা সদস্য, সিভিলিয়ান অনেকেই এই অর্গানাইজেশনগুলোকে, অসামরিক-সামরিক সবাই মিলে এই অর্গানাইজেশনগুলোকে ইফেক্টিভ রেখেছে। সেই জন্য আজকে এতদিন ধরে একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি।

এর মধ্যে যারা কাজ করেছে, যদি অপরাধ করে থাকে, সেটার শাস্তি হবে। অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। নাহলে এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে বন্ধ করতে চাই চিরতরে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমনভাবে কাজটা করব, এই সমস্ত অর্গানাইজেশনগুলো যেন আন্ডারমাইন না হয়।

আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। একটা বিরাট বড় কারণ হচ্ছে, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র‍্যাব-বিজিবি-ডিজিএফআই-এনএসআই প্যানিকড। বিভিন্ন দোষারোপ, গুম, খুন ইত্যাদি–এর তদন্ত চলছে। অবশ্যই তদন্ত হবে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমনভাবে কাজটা করতে হবে যেন এই অর্গানাইজেশনগুলো আন্ডারমাইন না হয়। এই অর্গানাইজেশনগুলোকে আন্ডারমাইন করে যদি আপনারা মনে করেন দেশের শাস্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করবে। সবাই শান্তিতে থাকবেন। এটা হবে না, এটা সম্ভব না। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।

এই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। দুই লক্ষ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র‍্যাব আছে, আনসার-বিডিবি আছে। আমার আছে হচ্ছে ৩০ হাজার সৈন্য। এদেরকে আমি এই যে একটা বিরাট ভয়েড, আমি ৩০ হাজার সৈন্য দিয়ে কীভাবে আমি এটা পূরণ করব? ৩০ হাজার থাকে, আবার ৩০ হাজার চলে যায় ক্যান্টনমেন্টে, আবার ৩০ হাজার আসে। এটা দিয়ে আমরা দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে যে সমস্ত শৃঙ্খল কাজ হয়েছে, এটা আমাদের নিজস্ব তৈরি। এটা আমাদের নিজস্ব ম্যানুফেকচার। আমরা নিজস্বভাবে এগুলো তৈরি করেছি। বিপরীতমুখী কাজ করলে শান্তি-শৃঙ্খলা আসবে না। এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।

তদন্ত কমিশন হচ্ছে, আবার আরেকটা। সর্বদা আমরা চেষ্টা করব তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করতে। যে ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, আমরা করব। আমরা দেশে একটা ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ একটা ইলেকশনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। এবং তার আগে যে সমস্ত সংস্কার করা প্রয়োজন, সরকার অবশ্যই সেই দিকে খেয়াল করবেন। আমি যতবারই ড. ইউনূসের সাথে কথা বলেছি, হি কমপ্লিটলি এগ্রিড উইথ মি। দেয়ার সুড বি ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশন। অ্যান্ড দ্য ইলেকশন সুড বি উইদিন ডিসেম্বর। অর ক্লোজ টু দ্যাট। যেটা আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে, ১৮ মাসের মধ্যে একটা ইলেকশন। আমার মনে হয় যে, সরকার সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই দেশটাকে ইউনাইটেড রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। উনাকে আমাদের সাহায্য করতে হবে, উনি যেন সফল হতে পারেন। সেইদিকে আমরা চেষ্টা করে যাব। আমরা একসাথে ইনশাল্লাহ কাজ করে যাব।

আজকে রাওয়ার চেয়ারম্যান মহোদয় আমাকে এখানে দাওয়াত দিয়েছেন। উনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর দ্বিতীয়বার আমি এখানে এসেছি। আমি উনার কাছে কৃতজ্ঞ যে, উনি আমাদেরকে বা রাওয়া আমাদের আলাদাভাবে দেখছে না। সার্ভিং অ্যান্ড রিটায়ার্ড। আমি তো বলেছি প্রথমেই যে, দেয়ার সুডন্ট বি এনি ডিফারেন্স। আমি সেনাপ্রধান হিসেবে সার্ভিংদের প্রতি আমার যে দায়িত্ব, রিটায়ার্ডদের প্রতিও একই দায়িত্ব। সামান্যতম কমবেশি না। সেই চেষ্টা আমি করে যাচ্ছি আমাদের লিমিটেড রিসোর্সোর মধ্যে। আমরা হেলথকেয়ারের ওপরে বেশ কিছু কাজ করছি। নিজস্ব কিছু মেডিকেল করার চেষ্টা করছি, ক্লিনিক করার চেষ্টা করছি। এবং আপনারা আস্তে আস্তে এগুলোর ফল ইনশাল্লাহ পাবেন।

আসেন আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি না করে ইউনাইট আওয়ারসেলফ। দেশ-জাতি যেন একসাথে থাকতে পারি, সেই দিকে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে, চিন্তাচেতনার বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু সবাই যেন দিনশেষে দেশ-জাতির দিকে খেয়াল করে আমরা যেন এক থাকতে পারি। তাহলেই এই দেশটা উন্নত হবে, এই দেশটা সঠিক পথে পরিচালিত হবে। নাহলে আমরা আরও সমস্যার মধ্যে পড়ে যাব। বিশ্বাস করেন, ওইদিকে আমরা যেতে চাই না। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন যে, আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি।

আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোঁড়াছুড়ি করেন এই দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম। নাইলে বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের। এই দেশ আমাদের সবার, আমরা সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারি। সেই উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ কইরেন না।

একটা কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি। সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারও কারও। কী কারণে, আমি আজ পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। আমরা হলাম একমাত্র ফোর্স, যেটা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দাঁড়িয়ে আছি প্ল্যাটফর্মে। অফকোর্স নেভি ও এয়ারফোর্স উই অল। আমাদেরকে সাহায্য করেন, আমাদেরকে আক্রমণ কইরেন না। আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন, আমাদেরকে উপদেশ দেন। কোনো একটা সমস্যা হয়ে গেলে আমি জেনারেল নুরুদ্দিন স্যারের শরণাপন্ন হই। এবং উনি আমাকে উপদেশ দেন। সিনিয়র জেনারেলরা আমাকে উপদেশ দেন, আমি সবার শরণাপন্ন হই। আমাদের প্রতি আক্রমণ কইরেন না। উপদেশ দেন, আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশগুলো গ্রহণ করব।

আমরা একসাথে থাকতে চাই এবং দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সবাই ভালো থাকবেন। মন খুলেই কথা বললাম। এতদিন যে কথা মনে মধ্যে ছিল, সবসময় প্রকাশ করতে পারি না। প্রকাশ করাও যায় না। আজকে প্রকাশ করে ফেললাম। আমি জানি না, আজকে এখানে অনেক মিডিয়া আছে, মিডিয়া না থাকলেই মনে হয় ভালো হতো। সবার সামনে আমি আমার মনের কথাটা প্রকাশ করে ফেললাম। কাউকে যদি দুঃখ দিয়ে থাকি, আমাকে ক্ষমা করবেন।

চলেন, আসেন আমরা একসাথে কাজ করি। দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাই। এখানেই আমাদের ছেলেমেয়েরা থাকবে। তাদের জন্য এমন কোনোকিছু রেখে না যাই যেখানে হানাহানি কাটাকাটি মারামারি হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই দেশে তাইলে থাকতে পারবে না। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।’

ভিডিও: https://youtu.be/4yOf9ThG5k4?si=ULbIwibx-Hu9I7-D

ফুয়াদ

×