
পুলিশ সদর দপ্তর প্রতিমাসেই সারাদেশের অপরাধের খতিয়ান প্রকাশ করে
পুলিশ সদর দপ্তর প্রতিমাসেই সারাদেশের অপরাধের খতিয়ান প্রকাশ করে। কোন মাসে কোন এলাকায় কতটি খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ ছিনতাই, অপহরণ ও চুরি সংঘটিত হয়- সেই পরিসংখ্যান হাতে নিয়ে বিশ্লেষণ করে। পরিসংখ্যান মতে-আইনশ্ঙ্খৃলা পরিস্থিতির অবণতি ঘটলেও কারণ খুঁজে বের করা হয়, আবার উন্নতি হলেও আরও ভালো করার উপায় বের করে।
এ পদ্ধতিতে দেখা গেছে, বিগত পাঁচ বছরের মাসিক অপরাধের খতিয়ানের মধ্যে গত জানুয়ারি সবচেয়ে ভয়ংকর মাস। পাঁচ বছরে ৫টি জানুয়ারির মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সবচেয়ে বেশি ডাকাতি (৭১টি) হয়েছে। অন্যান্য অপরাধের মধ্যে- ওই মাসেই সবচেয়ে বেশি খুন ২৯৪টি, অপহরণ ১০৫টি. ছিনতাই ১৭১টি, সিঁধেল চুরি ২৬২ও চুরি ৭৯৭টি সংঘটিত হয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরও উদ্বেগজনক প্রশ্ন - দেশে যৌথবাহিনীর মতো ফোর্স মাঠে থাকার পরও কেন গত জানুযারিতে এত বেশি ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ ও চুরি ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ এত বেশি সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- খোদ পুলিশ সদর দপ্তরের মাসিক সভার প্রতিবেদনে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হার্ডলাইনে থাকবে সরকার।
তার ঘোষণার পর পরই সোমবার মধ্য রাত থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কম্ববাইন্ড প্যাট্রোলিং। ছিনতাইকারী, দুর্বৃত্ত ও ডাকাত দেখামাত্রই কঠোর অ্যাকশন বা অল আউট অ্যাকশানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে অভিযান পরিচালনায় কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের গাফিলতি পেলেও তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ম্ঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি পয়েন্টে দেখা গেছে নিরাপত্তাকর্মীদের তল্লাশি ও নজরদারিতে কঠোর মনোভাব। সোমবার রাতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অবস্থান করতে পারে- এমন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে পুিলশের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশব্যাপী ম্যাজিস্ট্রেসী পাওয়ার নিয়ে মাঠে নামে যৌথবাহিনী। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে তারা এখনো অবস্থান করার পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি ঘটেনি।
বরং পুলিশের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে-এ বছরের জানুয়ারিতে দেশ জুড়ে খুন, অপহরণ, চুরি ও ডাকাতি মতো অপরাধের ঘটনা গত পাঁচ বছরের একই মাসের তুলনায় বেড়েছে। এ ধরনের অভিযোগে থানায় হওয়া মামলার সংখ্যা থেকে এই চিত্র উঠে এসেছে। যদিও, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক’ বক্তব্যের সঙ্গে এই তথ্য সম্পূর্ণ বিপরীত।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৯৪টি হত্যা মামলা হয়েছে, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ২৩১টি। এর আগের চার বছরের একই মাসে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১৪, ২৬৪, ২৫৭ ও ২৭৩টি। বছরের প্রথম মাসে ডাকাতির মামলা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭১টিতে, যা গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ১১৪টি। অপহরণের মামলাও চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিগুণ বেড়েছে।
গত ছয় বছরের মাসিক অপরাধের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এই দুই অভিযোগে একমাসে মোট মামলা হয়েছে ২৪২টি। গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরেও আগের পাঁচ বছরের একই মাসের তুলনায় ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- মানুষ খুন, চুরি, ছিনতাইয়ের ভয়ের মধ্যে বসবাস করছে। সরকারকে এ ব্যাপারে উদাসীন মনে হচ্ছে কারণ তারা এই সমস্যা সমাধানের উপায় জানে না। অপরাধের হার জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে। অপরাধের হার বাড়ছে নাকি কমছে, তা জরুরি বিষয় নয়, তবে যখন হাই-ইমপ্যাক্ট অপরাধ বেড়ে যায়- তখন জনগণের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি তৈরি হয়। জনগণ তেমনই আতংকে পড়েছে।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে যৌথবাহিনীর পর গত সপ্তাহে শুরু হয় অপারেশণ ডেভিল হান্ট। তাতেও তেমন কাজ হয়নি। অপরাধীরা আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। কারাগার থেকে একযোগে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা বেরিয়ে আসার পর তারা আগের চেয়ে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। দিন-দুপুরে ডাকাতি ছিনতাই খুনখারাবিতে মানুষ চরম ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে। রবিবার রাতেই রাজধানীর বনশ্রীতে যে কায়দায় স্বর্ণব্যবসায়ীর ওপর ছিনতাইকারীদের হামলা ও লুটপাট হয়েছে, উত্তরায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় দম্পতি আহত হওয়ায়, মোহাম্মদপুরে লাগাতার ছিনতাই ও মিরপুরে চাঁদাবাজ মাস্তানদের দৌরাত্ম্য দেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে আতংকিত হয়ে খোদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাত গভীরেই নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন। পরদিন সোমবার ঘোষণা দেওয়া হয়, কম্বাইন্ড প্যাট্রোলিং।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুত্রে জানা গেছে- ‘অপরাধীরা যতটা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে, সরকার পদক্ষেপও নিয়েছে ততটা কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে। এবারের পদক্ষেপকে বলা হচ্ছে- রোগের শেষ ওষুধ হিসেবে। যদি তাতেও কাজ না হয়, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ কি আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়। চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সার্বিক পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কোর কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে-রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি বাড়তে হবে। অপরাধ প্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে টার্গেট এলাকায় জোরদার অপারেশন পরিচালনা করা হবে। রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নৌবাহিনীর একটি অতিরিক্ত প্যাট্রোল এবং কিছু এলাকায় কোস্ট গার্ডের একটি অতিরিক্ত প্যাট্রোল নিয়োজিত থাকবে।
পুুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপ-পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন। ডিএমপির পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয় করা হবে, যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের পাকড়াও করা যায়। ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অবস্থান করতে পারে এমন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে টঙ্গি, বসিলা, কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জ এলাকায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হবে। ৫০০ এপিবিএন সদস্য ডিএমপিতে ন্যস্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে। থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আইনের আওতায় আনতে ত্বরিত পদক্ষেপ নেবে। মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য তথ্যগুলো প্রচারে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চোর, ছিনতাইকারী, ডাকাত ও অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে দেশব্যাপী র্যাবের রোবাস্ট প্যাট্রোল ও চেকপোস্ট স্থাপনসহ আভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে ঢাকায় র্যাবের ৬৯টি ও ঢাকার বাইরে ১৪৯টিসহ সারাদেশে মোট ২১৮টি টহলদল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান-দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও পরিকল্পনাকারী, চোর, ছিনতাইকারী, ডাকাত ও অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে দেশব্যাপী র্যাবের রোবাস্ট প্যাট্রোল ও চেকপোস্ট স্থাপনসহ আভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
সাম্প্রতিক সময়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস কায়দায় হামলা ও আক্রমণ চালাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে দেশব্যাপী র্যাব ফোর্সেস এর আভিযানিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সারাদেশে ২১৮টি টহলদল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া ভার্চুয়াল জগতে যেকোনো ধরনের গুজব/মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে র্যাব। অন্যদিকে যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে র্যাবকে জানানোর জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরসহ দেশের কয়েকটি স্থানে মঙ্গলবারও বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তারা। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গাজীপুর’-এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় প্রায় ২০ মিনিট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ, টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ, টঙ্গী সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে সর্বশেষ জানা যায়- কম্বাইন্ড প্যাট্রোলিংয়ের প্রথম দিনেই ঢাকার ৫০টি থানা এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫০০টি টহল দল এবং পুলিশের ৫৪ চেকপোস্ট দায়িত্ব পালন করেছে ডিএমপি। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
এর অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সমন্বিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।এতে দেখা যায়- সোমবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় ডিএমপির ৫০০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া, মহানগর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপির ৫৪টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে সিটিটিসির ৭টি, এন্টি টেররিজম ইউনিটের ৪টি এবং র্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। চেকপোস্টের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএনের ৩১টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ২৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৪ জন ডাকাত, ১৬ জন ছিনতাইকারী, ৭ জন চাঁদাবাজ, ১১ জন চোর, ২২ জন মাদক চোরাকারবারি, ৪৪ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫৯টি মামলা করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।