
ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, “আমরা চাই, দেশ এবং জাতিকে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ অবস্থায় রেখে সেনানিবাসে ফিরে আসতে।” বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “এখন মানুষ একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত রয়েছে, যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।”
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’-এর অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে সেনাপ্রধান আরও বলেন, “পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন না, কারণ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে; তারা প্যানিকড (আতঙ্কিত)।”
এসময়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সম্পর্কেও তিনি কথা বলেন। সেনাপ্রধান বলেন, “আমি আগেই বলেছি, ১৮ মাসের মধ্যে (নির্বাচন) করতে… সরকার হয়তো সেই দিকেই যাচ্ছে।’ নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি বন্ধ না করলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সেনাপ্রধান।”
এছাড়া, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্তদের ব্যাপারে তিনি কোন ধরনের ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি। তিনি বলেন, “তাদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিচারের প্রক্রিয়া নষ্ট করা যাবে না। এই বিদ্রোহের সঙ্গে সত্যি যারা যুক্ত, সেই তথ্য বের করতে স্বাধীন কমিশন কাজ করছে।”
অনুষ্ঠানে রাওয়া ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) আব্দুল হকের সভাপতিত্বে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরাও বক্তব্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। এবারই প্রথমবারের মতো দিবসটি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।
নুসরাত