ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

অ্যাস্ট্রোজেনিকা টিকার ল্যাব রিপোর্টের ছবি তোলাই কি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাহেদের!

প্রকাশিত: ১৬:১০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৬:১১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অ্যাস্ট্রোজেনিকা টিকার ল্যাব রিপোর্টের ছবি তোলাই কি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাহেদের!

ছবিঃ সংগৃহীত

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সে সময় সারাদেশে আলোচনায় আসেন তৎকালীন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ। সম্প্রতি সেই শাহেদ সেই সময়ের ঘটনা নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত কথা বলেছেন। 

উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিল, আপনাকে নিয়ে আমরা মিডিয়াতে দেখলাম শুরুতে একটা মিডিয়া ট্রায়াল; যেভাবে আপনার মুখ থেকে কোনও বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। একাধারে বলে দেওয়া হয়েছিল যে, রিজেন্ট কেলেঙ্কারির খলনায়ক আপনি। এই সব কিছু কেন ঘটল? কীভাবে ঘটল?আপনার দায় কতটুকু স্বীকার করবেন আপনি!    
 
জবাবে শাহেদ বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই আমার ধারনা, এপ্রিল মে থেকে আমাকে তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব আমাকে ফোন করেন। রাত আনুমানিক ১০টা ৩০ থেকে ১১টায় উনি ফোন করে আমাকে বললেন যে, বেসরকারি হাসপাতালে কেউ আগাই আসছে না আপনারতো ২টা হাসপাতাল আছে। এই হাসপাতাল ২টা আপনাকে করোনার জন্য দিতে হবে। 

আমি না বললাম, কিন্ত স্বাস্থ্য সচিব একপ্রকার জোর করলেন। জোর করে বললেন যে, আপনাকে দিতে হবে। 

আমাদেরকে একটা চুক্তিতে স্বাক্ষর করানো হল। শুধু একটা কথা হল যে এটা ডেডিকেটেড হিসাবে কাজ করা হবে।

জুনের ২৫ তারিখ অথবা ২৬ তারিখ তৎকালীন সিএমএইচডির কাছে যাই। সিএমএসডির দায়িত্বে ছিলেন তখন ব্রিগেডিয়ার শহিদুল্লাহ সাহেব। উনার বদলির অর্ডার হয়েছে, তা আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম কী বদলি কেন?  

উনি বললেন যে দেখেন আমি আমাকে একটা টিকা কিনতে বলা হচ্ছে, অ্যাস্ট্রোজেনিকার টিকা। এই টিকাটা উনি আমাকে দেখালেন। কাগজ ও ল্যাবের রিপোর্ট দেখালেন যে এই টিকাটা ইন্ডিয়া থেকে আনা হবে।

আমার ধারণা এটা যদি আমরা মানুষকে দেই মানুষ একটা অসুস্থতার মধ্যে পড়বে ভবিষ্যৎতে। আমার অন্যায় ছিল ওই ল্যাবের রিপোর্টটার ছবি তোলা। রিপোর্টটার ছবি তুলি এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কিছু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে আমি ছবিটা দিয়েছি। দিয়ে আমি নিচে লিখলাম, আপনারা বিষয়টি দেখেন। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য ক্ষতি হয়ে যাবে। তার পরে আমাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বলা হয়, এই বিষয়ে আপনি কোনও কথা বলবেন না এবং আমাকে বেক্সিমকোর থেকে একদম সরাসরি ফোন করা হয়। 
 
আপনি দেখবেন আমি কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে গাজী টেলিভিশনের একটি টক শোতে আমি বলেছিলাম এবং ঐদিন রাত্রে বেলায় আমাকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বলা হয় যে আপনি কাজটা ভালো করছেন না।

সালমান এফ রহমানের টার্গেট হয়ে গেলাম আমি একদম পুরোপুরি। শুধু উনি না, সংশ্লিষ্ট লোকজনের টার্গেট হয়ে গেলাম। ওনাদের ধারণা ছিল যে এই কপিটা আমি কোথাও ফ্ল্যাশ করে দেই কি না।
 

সূত্রঃ https://www.youtube.com/live/wDPG6orvJkc?si=P5gtsljJwbr2hkE3

রিফাত

×