ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ ও করণীয় নিয়ে সেনাপ্রধানের স্পষ্ট বক্তব্য

প্রকাশিত: ১৪:৫৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৪:৫৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ ও করণীয় নিয়ে সেনাপ্রধানের স্পষ্ট বক্তব্য

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, "আপনারা কিছু মনে করবেন না, আজকে আমি একটু পরিষ্কার করে কথা বলব। সবার হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার বক্তব্য গ্রহণ করলে আপনারা লাভবান হবেন। দেশের কোনো ক্ষতি হবে না। আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই, একটাই আকাঙ্ক্ষা-দেশ এবং জাতিটাকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে ছুটি করা।"


তিনি আরও বলেন, "আমি চাই, দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসবো।"

সেনাপ্রধান বলেন, "দেশের এই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের পিছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণটা হচ্ছে আমরা নিজেদের মধ্যে হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা অপরাধীদের জন্য চমৎকার সুযোগ। তারা জানে, এই সময় অপরাধ করলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সেই কারণেই এই অপরাধগুলো হচ্ছে।"

তিনি বলেন, "আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্রিত থাকি, তাহলে অবশ্যই এটা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।"

সেনাপ্রধান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রশংসা করে বলেন, "পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই-এগুলো দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। অতীতে খারাপ কাজের সাথে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজকের দেশের স্থিতিশীলতার পেছনে এই সংস্থাগুলোর বিশাল অবদান রয়েছে।"


তিনি সতর্ক করে বলেন, "আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দুর্বল করে দিলে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। আজকে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে না, কারণ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে।
র‍্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই প্যানিকড। বিভিন্ন দোষারোপ, তদন্ত চলছে। অবশ্যই তদন্ত হবে, দোষীদের বিচার হবে। কিন্তু কাজটা এমনভাবে করতে হবে যেন এই অর্গানাইজেশনগুলো আন্ডারমাইন্ড না হয়।"


সেনাপ্রধান বলেন, "দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। দুই লক্ষ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র‍্যাব আছে, আনসার ভিডিপি আছে। আমার আছে মাত্র ৩০ হাজার সৈন্য। এত বিশাল দায়িত্ব আমরা কিভাবে পালন করব?"

তিনি আরও বলেন, ৩০ হাজার সৈন্য থাকে, আবার ৩০ হাজার চলে যায় ক্যান্টনমেন্টে, আরও ৩০ হাজার আসে। এই সামান্য জনবল দিয়ে আমরা দিন-রাত চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সেনাপ্রধান বলেন, "দেশে যে সমস্ত উশৃঙ্খল কাজ হয়েছে, সেটা আমাদের নিজেদের তৈরি। এটা আমাদের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচার। আমরা নিজেরাই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছি। বিপরীতমুখী কাজ করলে কখনো শান্তি-শৃঙ্খলা আসবে না। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।"

সেনাপ্রধান বলেন, আমরা যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে দুর্বল করে দেই, তাহলে দেশে শান্তি থাকবে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সংঘটিত হতে হবে। তাহলেই আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।


সূত্র:https://tinyurl.com/3uje5apj
 

আফরোজা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ ও করণীয় নিয়ে সেনাপ্রধানের স্পষ্ট বক্তব্য মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন,

×