ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে দুই দশক আগে সেনাবাহিনীর ট্রাকে শ্বাসরোধে বহু মুসলিম বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। 
২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণ থাইল্যান্ডের তাক বাই শহরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী নারাথিওয়াত প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী একটি থানার বাইরে বিক্ষোভরত জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে সাতজন নিহত হয়। পরবর্তীতে আটককৃত ৭৮ জনকে হাত-পা বেঁধে সামরিক ট্রাকে গাদাগাদি করে নেয়া হয়। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনার পরই এটি ‘তাক বাই গণহত্যা’ নামে পরিচিত হয়। 

থাকসিন সিনাওয়াত্রা বলেন, "আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণের কল্যাণে কাজ করা। যদি আমার কোনো ভুল বা অযথা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর, নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই শহরের একটি পুলিশ স্টেশনের সামনে কয়েকশ মুসলিম বিক্ষোভ করছিলেন। তখন নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করে। পরে প্রায় ১,৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয় এবং তাদের হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় সামরিক ট্রাকে একটির ওপর আরেকটি স্তূপ করে তোলা হয়। এই অবস্থায় দীর্ঘ সময় তাদের ফেলে রাখার ফলে শ্বাসরোধ হয়ে ৭৮ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। মানবাধিকার কর্মীরা এ ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রীয় হত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। গত বছরের আগস্টে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় সাতজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তবে অভিযুক্তরা আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

২০২৩ সালের অক্টোবরে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং থাকসিনের কন্যা পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রা ঘোষণা দেন যে, মামলার সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে, তাই এটি পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব নয়।

শম্পা

×