ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

নির্বাচনে জয়ী হয়ে ‘স্বাধীনতার’ ডাক দিলেন ফ্রেডরিখ মের্জ

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নির্বাচনে জয়ী হয়ে ‘স্বাধীনতার’ ডাক দিলেন ফ্রেডরিখ মের্জ

ফ্রিডরিখ মের্জ । ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে ইউরোপকে মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর-ইলেক্ট ফ্রিডরিখ মের্জ। 


ফ্রিডরিখ মের্জ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের ভাগ্যের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের স্বাধীন হতে হবে। এছাড়া ইউক্রেনের পাশে ইউরোপকে দাঁড়ানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন ফ্রেডরিখ মেৎস। 


রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক গোলটেবিল টিভি আলোচনায় মেৎস বলেন, তার ‘অগ্রাধিকার’হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউরোপকে শক্তিশালী করা যাতে তারা ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে। ইউরোপের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র উদাসীন অভিযোগ করে ফ্রেডরিখ ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং ইউরোপকে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা জোরদার করার দাবি জানান। এদিকে তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) জয় পাবার পর সোমবার সকালে ফ্রেডরিখ ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের তৃতীয় বার্ষিকী উদযাপন করেন। 

গনমাধ্যমকে ফ্রিডরিখ মের্জ বলেন, 'আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হবে যত দ্রুত সম্ভব ইউরোপকে শক্তিশালী করা, যাতে ধাপে ধাপে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি।'


৬৯ বছর বয়সী মের্জ আরও বলেন, 'আমি কখনো ভাবিনি, আমাকে টেলিভিশনে এমন কিছু বলতে হবে। কিন্তু গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের পর এটা বলতেই হয়, মার্কিনিরা—অন্তত তাদের বর্তমান প্রশাসন যে ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত না, তা একেবারে স্পষ্ট।' নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপেরও সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, 'ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ কোনো অংশেই মস্কোর হস্তক্ষেপের চেয়ে কম নাটকীয়, আগ্রাসী বা অবমাননাকর না। আমরা দুই দিক থেকেই ব্যাপক চাপের মুখে আছি। যে কারণে আমার প্রধান অগ্রাধিকার হবে ইউরোপকে ঐক্যবদ্ধ করা'।

নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্ক জার্মানির অতি ডানপন্থি দল এবং 'নব্য-নাৎসি' হিসেবে সমালোচিত অল্টারনেট ফর জার্মানিকে (এএফডি) সমর্থন দেন। মাস্কের এই সমর্থন ভালোভাবে নেয়নি জার্মানির কোনো রাজনৈতিক দল।

এএফডি এই নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ—২০ দশমিক আট শতাংশ—ভোট পেয়েছে। কিন্তু সিডিইউ বা অন্য কোনো দল তাদের সঙ্গে জোট সরকার গড়তে রাজি না থাকায় তারা পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থেকে যাবে। নাৎসি পার্টির পতনের পর জার্মানির কোনো অতি ডানপন্থি দল নির্বাচনে এই পরিমাণ আসন পায়নি। 


এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিডিইউকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের মতোই জার্মানির জনগণও এত বছর ধরে প্রচলিত জ্বালানি ও অভিবাসন ইস্যুতে সাধারণ জ্ঞানহীন এজেন্ডায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।'

শম্পা

×