ছবি: সংগৃহীত
"রাষ্ট্রের কাছে মানুষের প্রথম ও প্রধান চাওয়া হলো নিরাপত্তা। সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দেশের জন্য কল্যাণকর নয়। তাই আইন-শৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা উচিৎ।"
আজ সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এমনটিই জানিয়েছন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। দেশে বিদ্যমান চরম নাজুক ও অরাজক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ চরমোনাই পীরের এই বিবৃতিটি গণমাধ্যমে প্রেরণ করেন।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, "স্বৈরাচার পতনের ছয় মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য না।"
তিনি সরকারের কাছে স্বৈরাচারের অপকর্মের হোতাদের এখনও কেন প্রশাসন থেকে সমূলে উচ্ছেদ করা যায়নি এবং দুর্বলতা কোথায় এমন প্রশ্ন রেখে বলেন, "পুলিশ প্রশাসনে স্বৈরাচারের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে যারা হয়ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কিন্তু সরকারকে মনে রাখা লাগবে, এই সরকার দেশের কোটি কোটি বিপ্লবী জনতা সমর্থিত সরকার।"
মুফতি রেজাউল করীম দেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান রেখে আরও বলেন, "এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দিলে স্বৈরাচারের দোসররা আবারও গেড়ে বসার চেষ্টা করবে। তার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। তাই নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করুন, কিন্তু রেষারেষি ও হানাহানী করবেন না।"
"আবারও যদি আমরা সম্মিলিতভাবে ঐক্য গড়ে তুলি, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো হতে বাধ্য; ইনশাআল্লাহ" জানিয়ে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এলাকায় এলাকায় সকল দলের সমন্বয়ে নাগরিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।
রাকিব
