
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে, তা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা তুঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশি একটি প্রতিষ্ঠান, যার মাত্র দুইজন কর্মী রয়েছেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির নাম খুব বেশি পরিচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি (USAID) তাদের কার্যক্রম স্থগিতের পর, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন বাতিল করেছে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক পরিবেশ শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে এই ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ছিল। একইসঙ্গে ভারতের ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্ধারিত ২১ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিষয়ক বিভাগ ডিওজি (DOJ) জানায়, তারা বিশ্বের ১১টি দেশে বড় আকারের আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছে। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, যা ইউএসএআইডি ও ব্রিটিশ সাহায্য সংস্থা ডিএফআইডি (DFID) এর অর্থায়নে পরিচালিত হতো, তারাও এই সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছে। তাদের "পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ" (SPL) প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি, দল ও জনগণের মধ্যে সংযোগ মজবুত করা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা কমানো।
এই প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থায়ন বাতিলের কারণে এটি এখন বন্ধের পথে। এছাড়া, প্যালাডিয়াম ইন্টারন্যাশনাল, যা কৃষি ও উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কাজ করত, তারাও অর্থায়ন হারিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাতেন। তার এমজিআর কর্মসূচির আওতায় গত কয়েক বছরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তবে এনজিও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধন না থাকলে ইউএসএআইডি বা মার্কিন ফেডারেল সরকারের সরাসরি অর্থায়ন পাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি, বাংলাদেশে কোনো এনজিও বিদেশি অর্থায়ন পেলে, সেটি ছাড় করানোর জন্য বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে—এই ২৯ মিলিয়ন ডলার কোন প্রতিষ্ঠান পেয়েছে, কীভাবে পেয়েছে এবং এর ব্যবহারের স্বচ্ছতা কতটুকু নিশ্চিত করা হয়েছে? বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/NbWCKAkTL4A?si=ELEi1hA_y45nNDcl
এম.কে.