ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

৪ প্রদেশের বাংলাদেশে কেমন হবে শাসনব্যবস্থা?

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৪ প্রদেশের বাংলাদেশে কেমন হবে শাসনব্যবস্থা?

ছবি:সংগৃহীত

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য বাংলাদেশ কতটুকু প্রস্তুত?  রাজধানী ঢাকার উপর অতিরিক্ত চাপ, আঞ্চলিক বৈষম্য এবং উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশ, সবমিলিয়ের নীতি নির্ধারকদের দাবি প্রদেশ ভিত্তিক সরকার ব্যবস্থা। রাজ্যভিত্তিক সরকার ব্যবস্থা কেমন হবে? রাজ্যভিত্তিক ব্যবস্থার রূপরেখা কেমন হবে? বিশ্বের কোন কোন দেশে এমন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে? আর কতটুকুই বা তাতে অগ্রগতি এসেছে ।

প্রদেশ ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সফল উদাহরণ যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রব্যবস্থা হল একটি ইউনাইটেড কিংডম, যেখানে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, ইংল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের চারটি প্রদেশ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র একটি ফেডারেল রাষ্ট্র, যেখানে ৫০টি প্রদেশ বা "স্টেট" রয়েছে, এবং প্রতিটি স্টেটের নিজস্ব আইন, সাংবিধানিক অধিকার এবং শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্টেট সরকারগুলোর মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করা হয়। কানাডাও একটি ফেডারেল রাষ্ট্র, যেখানে ১০টি প্রদেশ এবং ৩টি আঞ্চলিক অঞ্চল রয়েছে। কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রদেশগুলোর মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত।

প্রশাসনিক ক্ষমতা যদি ঢাকার বাহিরে দিয়ে দেওয়া যায় তাহলে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে। বিশেষ করে ঢাকা চট্টগ্রাম খুলনা এবং সিলেট যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে কাজ করতে পারে তাহলে আঞ্চলিক সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। ঢাকার উপরে নির্ভরশীল থাকার কারণে যেসব সমস্যা হচ্ছে সেগুলো কেটে যাবে। বেঁচে যাবে অর্থ এবং সময়।আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেক অংশে কমে যাবে। 

এই ঢাকা শহরকেই যোগান দিতে হয় বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষের জীবিকা। সরকারি অফিস থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবকিছুই ঢাকা কেন্দ্রিক। 
অতিরিক্ত চাপে ভেঙে পড়েছে ঢাকার অবকাঠামো। অকার্যকর হিসেবে আখ্যা পাচ্ছে বড় বড় শহরগুলো আর ওই শহরগুলোর উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের দাবি একমাত্র প্রশাসনিক কাঠামো ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দিলেই কেবল এই শহরের উপর চাপ কমবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই সুপারিশ বাংলাদেশের জন্য বাস্তবসম্মত নয়। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মোটেও ইতিবাচক নয়, এছাড়াও বাড়বে রাজনৈতিক জটিলতা।

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

×