
ছবি:সংগৃহীত
সাবেক শিবির নেতা মির্জা গালিবের রাজনীতির রূপরেখা নিয়ে কথা বলেছেন আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও বিএনপিপন্থী তরুণ আইনজীবী হাবিবুর রহমান।
আজ রবিবার ( ২৩ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে হাবিব লিখেন, মীর্জা গালিব সাহেব ছাত্ররাজনীতির যে রূপরেখা দিয়েছেন আমাদের দেশের বাস্তবতায় তার রাজনীতির একটা অংশ হতে পারে, বড়জোর দশ পার্সেন্ট। পাঠচক্র বা ক্লাব মডেলের রাজনীতি করলে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলন এর একটাও সফল হত না। ভাষা আন্দোলন থেকে ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত সবগুলো গণ-অভ্যুত্থানের মূলে রয়েছে বড়ো বড়ো মিছিল আর স্ট্রিট ফাইটিং। শুধু পাঠচক্র করে বন্দুকের সামনে দাঁড়ানো যায় না। সবাই যদি মোবাইল ফোন কমিউনিকেশন দিয়ে মাস্টারমাইন্ড হতে যায়, তাহলে রাস্তায় মানুষ পাওয়া যাবে না। কেউ পাঠচক্র নির্ভর রাজনীতি করলেও কোনো সমস্যা নাই। তাদের চয়েস। কিন্তু পাঠচক্র যে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন করছে সেটা আগে থেকে না জানানো মোনাফেকি। একইভাবে নিরীহ সহজ সরল ছাত্রদেরকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।
তিনি আরো লিখেন, সংগঠনের একশ নেতা থাকলে সাড়ে সাতজন সামনে আসে, বাকিদের রুমমেট, বন্ধু, সহপাঠীও জানে না সে কোনো এক দলের নেতা। তাকে গোপন সংগঠন বলবে না কেন? গালিব সাহেব এখানে একটা বুজরুকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বই পড়ার কারনে তার সংগঠনকে কেউ গোপন সংগঠন বলে না। তাদের 'মোস্টলি সিক্রেট - পার্টলি ওপেন' পলিসির কারণে বলে৷ছাত্রদলের কমিটির লিস্টে যত নাম আছে, সবার নামে মামলা হত। শিবিরের ক্ষেত্রে সেরকম গণহারে মামলার ভুক্তভোগী হতে হয়নি। উল্টো শিবির সন্দেহে যত ছাত্রের নামে মামলা হয়েছে, তাদের নিরানব্বই ভাগই শিবির ছিল না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এরকম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়ার দায় শিবিরকে নিতে হবে।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক