ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

ছবি:সংগৃহীত

বাংলাদেশ 'দন্ডবিধি ১৮৬০' আইনের ১০০ ধারার ৩য় ধাপে বলা আছে - "কোন ব্যাক্তি যদি ধর্ষণের অভিপ্রায়ে আক্রমণ করে, তাহলে ঐ আক্রমণকারী হতে দেহের রক্ষার জন্য আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু ঘটানো যায়। এবং এই মৃত্যু ঘটানো 'খুন' বলে বিবেচ্য হবে না।"

বাংলাদেশের দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১০০ ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনের জন্য বিপদজনক পরিস্থিতিতে পড়ে এবং আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তা খুন হিসেবে গণ্য হবে না। এই ধারাটি আত্মরক্ষার অধিকার সম্পর্কে বলে, বিশেষ করে ধর্ষণের বা যৌন নিপীড়নের পরিস্থিতিতে, যেখানে ভুক্তভোগী নিজেকে রক্ষা করার জন্য আইনগতভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।

ধারা ১০০ এর ৩য় উপধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি ধর্ষণের উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি আক্রমণ করে, তাহলে আত্মরক্ষার জন্য ঐ আক্রমণকারীকে মারাত্মকভাবে আঘাত করা যেতে পারে, এমনকি তার মৃত্যু ঘটানোও জায়েজ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ঐ মৃত্যুকে "খুন" হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। অর্থাৎ, এটি আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।

তবে, এই আইনের প্রয়োগের জন্য বিশেষ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে:

১.আক্রমণকারীর আক্রমণ ধর্ষণের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২.ভুক্তভোগী যদি নিজের রক্ষা করার জন্য আক্রমণকারীকে আঘাত করেন এবং তা পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় ও যুক্তিসঙ্গত হয়।
৩.আত্মরক্ষার প্রয়োজনে করা পদক্ষেপটি অতিরিক্ত সহিংসতার কারণে না হয়ে থাকে।
৪.এটা আইনের একটি ব্যতিক্রমী বিধান, যেখানে প্রয়োগকারী ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে আত্মরক্ষা করতে পারবেন। তবে, এই ধরনের ঘটনা বিচারক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করবে।

 

 

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

×