
এশিয়ার পরাশক্তি হওয়ার সব ভৌগলিক উপাদান মজুত আছে বাংলাদেশের ভূ অবস্থানের মাঝে। স্বাধীনতার পর থেকে নানা সময়ে বাংলাদেশ এই ভৌগলিক অবস্থানের সুবিধা পুরোপুরি লাভ করতে পারেনি। নানা সময় বাংলাদেশ তাদের ভূকৌশলগত এই সুবিধা লাভ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করলেও তা যেন মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো প্রতিবেশি দেশ ভারতের। ফলে বাংলাদেশ বারবার তাদের সুবিধা আদায়ের পথে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভৌগলিক সুবিধা হচ্ছে বিশ্বের নৌবাণিজ্য রুটের সাথে সরাসরি সংযোগ। বাংলাদেশ তার দক্ষিণের বঙ্গপোসাগরের মাধ্যমে সরাসরি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুটের সাথে যুক্ত।
এদিকে বাংলাদেশের আছে ১,১৮,১৮৩ বর্গ কি.মি আয়তনের বিশাল সমুদ্রসীমা। এই সমুদ্র অঞ্চল সরাসরি বিশ্বের প্রধান জলপথের সাথে যুক্ত।
বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যের বার্তা নিয়ে আসছে ভূটান ও নেপাল। এ দুই দেশের কোনো সমুদ্র বন্দর না থাকায় তারা ভারত ও চীনের উপর সমুদ্র পথে আমদানি ও রপ্তানির জন্য নির্ভরশীল। তবে তাদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক বন্দর হচ্ছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। তবে এক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে আছে ভারতের শিলিগুড়ি কোরিডোর ট্রানজিট। যা ভারতে এখনও বাংলাদেশকে পুরোপুরি ব্যবহারের সুবিধা দেয়নি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ভূকৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি বলেছেন, প্রকৃতির আশীর্বাদ ঠিকমতো কাজে লাগতে পারলে কেউ লোহার দড়ি দিয়েও আটকে রখতে পারবেনা বাংলাদেশকে।
এছাড়া নেপাল তার হাইড্রো পাওয়ার রপ্তানি করতে চায় বাংলাদেশে। যা নবায়ণযোগ্য শক্তির এক বিশাল উৎস। এক্ষেত্রেও বাঁধা হয়ে আছে ভারতের চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি কোরিডোর।
মুমু