
ছবিঃ সংগৃহীত
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাদিকুর রহমান খান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ভয়ের কালচারটা বাংলাদেশে সবসময়ই ছিলো। যেখানে ধর্ষণ মামলা হলে বড়জোর কান ধরে উঠবস করে ছেড়ে দেওয়া হয়। মেয়ের ফ্যামিলিকে বলে দেওয়া হয় যাতে বাড়াবাড়ি না করে।
এখানে কে কী করবে? পুলিশ ম্যানেজ করাই থাকে। এখন একটা ফ্যামিলি এখানে কী নিয়ে ফাইট করবে। তাই এরা ফাইটে নামেই না। কুইট করে। ধর্ষণের মামলার ৯০% ভূয়া, বিচার হয় না, কারণ এই মামলা যারা করে এরা প্রিভিলেজড। সাধারণত জমি জমা, পার্সোনাল ঝামেলাকে ধর্ষণ বলে চালাইয়া দেয়। মামলা করে টাকা নেয়।
এইটা আরেক কেস। এই মামলার বড় একটা অংশ বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ তথা পারস্পরিক সম্মতিতে মিলন। এই ধর্ষণ মামলাগুলো বিচারের জন্য দেওয়া হয় না। দেওয়া হয় বিয়ে করার জন্য। আপনি জানেন কি না, মসজিদ আর কমিউনিটি সেন্টারের পরে বাংলাদেশে সবচে বেশি বিয়ে হয় কোর্টে। মেয়ে ধর্ষণ মামলা দেয়, ছেলেকে পুলিশ ধরে আনে। মেয়ে বলে যে আমি বিচার চাই না, আমি বিয়ে করতে চাই।
জামিন অযোগ্য ধারা। ছেলে বিয়ে না করে প্রথমে জেলে যায়। তারপর বাধ্য হয়ে জেলগেটে বিয়ে করে জামিন আর বৌ নিয়ে বের হয়ে আসে। এইজন্যই ধর্ষণের কেসের বিচারটা হয় না আর। সাক্ষী যায় না, জাস্ট মামলা করে, বাটে ফেলে টাকা খাইয়া নিজেরা মীমাংসা করে।
এই হলো ৯০% মামলার কাহিনী। আমার কথা বিশ্বাস করতে হবেনা। ফ্যামিলিতে যদি ম্যাজিস্ট্রেট বা জাজ থাকে, গল্প শুইনেন।
মেইন ভিক্টিমরা মাঠেই আসে না। তাদের মাঠে আসতেই দেওয়া হয় না। এমনও কাহিনী আছে, বড় মেয়ে ধর্ষণ হইছে। এখানে কোন স্টেপ নিলে ছোট মেয়েকেও ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়। তখন বাধ্য হয়ে চেপে যায়। অনেক ক্ষেত্রে বাপ টাকা খাইয়া নেয়। বিচার না চাওয়ার ওয়াদা দিয়ে। কারণ রেইপ সাধারণত এমন ফ্যামিলির মেয়েদেরই করা হয়, যাদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থান একেবারে নিচে।
আমাদের রাষ্ট্র এদের জন্য কিছুই করতে পারে নাই এখন পর্যন্ত।
রিফাত