
ছবিঃ সংগৃহীত
হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী যোগেন্দ্র কিশোর ও হরেন্দ্র কিশোর (জে কে এন্ড এইচ কে) হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দিনব্যাপী আয়োজিত এ বর্ণিল অনুষ্ঠানে মুগ্ধ হয়েছেন অতিথিরা।
জেলা শহরে অবস্থিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান সকাল ৮টায় রিপোর্টিং ও উপহার সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় নাস্তা পরিবেশন করা হয়।
সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, শতাব্দীর পদচিহ্ন শিরোনামে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং হবিগঞ্জের কৃতিসন্তান জালাল আহমেদ। উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান, পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও জে কে অ্যান্ড এইচ কে হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা (এডহক) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. হারুন মিয়া, হবিগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন এবং বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান চৌধুরী।
শতবর্ষ পূর্তি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এবং মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতু। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষকদের সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যান্য আয়োজনে ছিল— দুপুর ১২টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রক্তদান কর্মসূচি, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের মিউজিক্যাল চেয়ার ও বেলুন ফুটানো প্রতিযোগিতা। জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর বেলা আড়াইটায় ব্যাচ পরিচিতি ও স্মৃতিচারণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আসরের নামাজের পর বিকেল সাড়ে ৪টায় অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ এবং মাগরিবের নামাজের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, কারণ এই আয়োজনের মাধ্যমে তারা বহুদিন পর হারানো বন্ধুদের সঙ্গে পুনর্মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
মারিয়া