ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

নিঝুমদ্বীপ সৈকতে পর্যটকের ঢল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী

প্রকাশিত: ২২:২৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিঝুমদ্বীপ সৈকতে পর্যটকের ঢল

.

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা নিঝুমদ্বীপ সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শনিবার পর্যন্ত এই ঢল দেখা গেছে। এখনো হাজার হাজার পর্যটকে ভরপুর নিঝুমদ্বীপ সৈকত।
হোটেল মালিক সূত্র জানায়, বন্ধের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতে সমবেত হয়েছে হাজার হাজার পর্যটক। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্থানীয় আরও হাজার হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে পাঁচ কিলোমিটারের কাছাকাছি এ সৈকত পর্যটকে ভরে গেছে। শনিবার পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার পর্যটক সৈকতে ভিড় করছেন বলে হোটেল মালিকরা জানান।
শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, হাজার হাজার পর্যটক কোমর সমান পানিতে নেমে জলকেলি করছেন। উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের ধাক্কায় কোনো পর্যটক যেন সমুদ্রে ভেসে না যান, সে জন্য লাইফগার্ডের কর্মী, ডুবুরি ও ট্যুরিস্ট পুলিশ লোকজনকে সতর্ক করছেন। ভাটার সময় গোসলে নামলে স্রোতের টানে লোকজন গভীর সাগরে ভেসে যেতে পারে, সে বিষয়ে পর্যটকদের সতর্ক করতে বালুচরে ওড়ানো হয় লাল পতাকা। লাল পতাকা উড়তে দেখা গেলে গোসলে নামা বিপদ। আর জোয়ারের সময় গোসল নিরাপদ। এ সময় ওড়ানো হয় সবুজ পতাকা। নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রমজানের পূর্বে ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। বিপুলসংখ্যক পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশসহ আরও কিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সৈকতে কথা হয় গৃহবধূ আসমা সুলতানার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রমজান পূর্ববর্তী একটু নিরিবিলি পরিবেশে থাকার জন্য’ ঢাকা থেকে নিঝুমদ্বীপ সৈকতে ছুটে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখছি হাজার হাজার মানুষে ভরপুর সৈকত। উত্তাল সমুদ্রের গর্জন মানুষের কোলাহলে হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও ভালো লাগছে অন্য রকম পরিবেশ দেখে।’ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা স্কুল শিক্ষক আরিফুর রহমান বলেন, বর্ষায় সমুদ্রের রূপ অন্য রকম। উত্তাল সমুদ্রের একেকটা ঢেউ এবং সমুদ্রের বিশালতা মানুষের মনকে জাগিয়ে তুলছে। মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলতে সাহস জোগাচ্ছে, উৎসাহিত করে। কিন্তু নৌযোগাযোগ বন্ধ থাকায় প্রবালদ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে ছেলেমেয়েদের মন একটু খারাপ।
হোটেল মালিকরা বলেন, রমজানের পূর্বে সামনে রেখে ছুটিতে সৈকত ভ্রমণে আসবেন হাজারের বেশি পর্যটক। এ সময় হোটেল, মোটেল, কটেজ ও গেস্ট হাউস, রেস্তোরাঁর ব্যবসা হবে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। বর্ষা মৌসুমের ভ্রমণকে কাজে লাগানোর জন্য ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল মালিকরা কক্ষ ভাড়া ৪০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছেন।

×