
ছবিঃ সংগৃহীত।
আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাদিকুর রহমান খান তার ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে লিখেন, নেত্রকোনায় এক স্বামী তার বৌ এর রেপিস্টকে খুন করেছে। সারাদিনে এই একটা খবরেই আসলে স্বস্তি পেয়েছি। কারণ রাষ্ট্র যেহেতু বিচার করতে বা প্রোটেকশন দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, একজন পুরুষের সর্বশেষ কাজ হলো প্রতিশোধ নেওয়া। পুরুষ নিজের বৌকে লাঞ্ছিত হতে দেখার চে নিজের মৃত্যুকে পছন্দ করবে বেশি। এই প্যাট্রিয়ার্কি সাধারণত বাংলাদেশ বা ভারতে দেখি না আমরা। সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে বইটা পড়ে থাকলে এই টাইপের প্যাট্রিয়ার্কি দেখতে পাবেন। শুনেছিলাম, কাবুল বা পেশোয়ারের লোকজন কেউ বাড়ির মহিলাদের ওড়না ধরে টান দিলেও যাইয়া ওরে খুন করে আসতো। সো, মেয়েদের গায়ে সাধারণত কেউ হাত দিতে সাহস করতো না। এই যে বাসের মধ্যে রেইপ হইতেছে, কারণ তো অবশ্যই পুলিশ প্রশাসন অকার্যকর, বাট ঐ বাসের ছেলেদেরও কি দায় নাই?
তিনি আরো লিখেন, সব প্যাট্রিয়ার্কি খালি জমি নেওয়ার বেলাতে আর ঘরের মধ্যে হলে তো সমস্যা। যেই প্যাট্রিয়ার্কি আপনাকে নারীর চিৎকারেও ট্রিগার করতে পারে না, সেই লুথা প্যাট্রিয়ার্কি দিয়ে আপনি কী করবেন? অবশ্য শুনেছি সারা পৃথিবীতেই আজকাল পুরুষের এই অবস্থা হইতেছে। ওক কালচার ম্যাসক্যুলিনিটিকে দেখাইতেছে টক্সিসিটি হিসেবে, পসেজিভনেসকে দেখায় চিপ মেন্টালিটি হিসেবে। সো, ছেলেরা এখন ঐ যে জলের মতো সহজ সরল, অ্যাংগার নাই, মেইল ইগো নাই টাইপের ভোদাই হওয়ার রেসে আছে। এই ভোদাইরা বৌ এর গায়ে হাত দিলে এসে কানবে, এমপ্যাথি দেখাবে, সিমপ্যাথি দেখাবে, বাট তাও ক্রিমিনালের প্রতি আগ্রাসনটা দেখাবে না। কারণ, ঐ যে মেল ইগো না থাকতে থাকতে এদের ঐ সেন্সিটিভিটিটাই নষ্ট হয়ে গেছে ।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক