
ছবিঃ সংগৃহীত
সম্প্রতি জুলকারনাইন সায়ের একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে ঘিরে ভিন্নমুখী মতামত ও সমালোচনার ঝড় নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন একদিকে তাদের প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে, অন্যদিকে কিছু মহল থেকে তীব্র বিরোধিতা ও অভিযোগ উঠছে। তার মতে, এই পরিবর্তনশীল দৃষ্টিভঙ্গি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সামরিক বাহিনীর নিরপেক্ষ অবস্থান ও সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তখন দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিশেষ করে সুধী সমাজ, আশা করেছিল সেনাবাহিনী জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান দেখাবে এবং একটি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। বাস্তবেও তাই ঘটেছিল, ফলে আন্দোলন সফল হয় এবং সামরিক বাহিনীর ভূমিকার জন্য তাদের প্রশংসা করা হয়।
কিন্তু মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে সেই প্রশংসিত বাহিনীর বিরুদ্ধে আবারও কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে। কিছু ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে, ২০২৪ সালের ২ আগস্ট একটি বিশেষ মহলকে ভয় দেখানো হয়েছিল যেন তারা একদফা ঘোষণা দিয়ে সেনাশাসনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়। তবে বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, যদি সেনাবাহিনী সত্যিই ক্ষমতা দখলের ইচ্ছা পোষণ করত, তাহলে সেটি কি আদৌ কঠিন হতো?
সমালোচকদের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, কেন একই সংস্থার ভূমিকা একবার প্রশংসিত হয়, আবার পরক্ষণেই তীব্র সমালোচনার শিকার হয়? সেনাবাহিনী যখন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রেখে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, তখন তাদের বারবার অপমান ও অপদস্ত করা কতটা যৌক্তিক?
তার মতে, যখন কোনো সংস্থা ভুল পথে যায়, তখন সমালোচনা করা প্রয়োজন, কিন্তু যখন তারা ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যায়, তখন তাদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ না করে বাস্তবতাকে স্বীকার করাই শ্রেয়।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/15uvWE4pPA/
মারিয়া