ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

জুলাই বিপ্লবের অজানা ইতিহাস উন্মোচিত, আনসাং হিরো কে ছিলেন?

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জুলাই বিপ্লবের অজানা ইতিহাস উন্মোচিত, আনসাং হিরো কে ছিলেন?

ছবিঃ সংগৃহীত

জুলকারনাইন সায়েরের সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। এই তথ্য প্রকাশের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বেশ কিছু প্রচলিত তথ্য প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

জুলকারনাইন সায়ের ২০২৪ সালের পার্সন অব দ্য ইয়ার হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন সাদিক কায়েমকে, তবে তার এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ এতদিন অজানা ছিল। আজ সেই রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।

আন্দোলনের পেছনের নেপথ্য চরিত্র
তথ্য অনুযায়ী, সাদিক কায়েম সালমান নামে পরিচিত ছিলেন এবং তিনিই জুলকারনাইন সায়ের ও আরেকজন নেতার সঙ্গে পুরো যোগাযোগ রক্ষা করতেন। শুধু তাই নয়, আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এক দফা দাবির ঘোষণা দেওয়ার আগে কিছু সমন্বয়কারী তাদের পরিবারের জন্য দূতাবাসে আশ্রয় নিশ্চিত না হলে আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। তবে, সেই মুহূর্তে সাদিক কায়েম আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অনড় ছিলেন।

একজন রহস্যময় নারীর ভূমিকা
এই ঘটনায় এক রহস্যময় নারীর উল্লেখ পাওয়া গেছে, যিনি আন্দোলনের পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তার নির্দেশনায় সাদিক কায়েম কাজ করতেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থাও মূলত তিনিই করেছিলেন। তবে, আন্দোলনের জটিলতা ও সমন্বয়কারীদের দাবি-দাওয়া দেখে তিনি একাধিকবার সরে যেতে চাইলেও সাদিক কায়েম তাকে অনুরোধ করে আন্দোলনে থাকতে বলেন।

সাদিক কায়েমের বক্তব্য ছিল, "এখানে অনেক স্টেকহোল্ডার আছে। কাজ করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমি এই আন্দোলনের জন্য আমার জীবন দিতেও প্রস্তুত।"

সাদিক কায়েম: জুলাই বিপ্লবের নিঃস্বার্থ যোদ্ধা
যখন অনেক সমন্বয়কারী তাদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দূতাবাসে আশ্রয়ের দাবি করছিলেন, তখন সাদিক কায়েম শুধু আন্দোলন রক্ষার দিকেই নজর দিয়েছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা না ভেবে, নিজের নাম্বার ব্যবহার করে সমস্ত যোগাযোগ চালিয়েছিলেন, যা সরকার চাইলেই সহজেই শনাক্ত করতে পারত।

জুলাই বিপ্লবের সময় কারা ফাঁসির ঝুঁকিতে ছিলেন, তা নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও নতুন তথ্য অনুযায়ী, আসল ঝুঁকির মুখে থাকা ব্যক্তি ছিলেন সাদিক কায়েম।

নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের স্বীকৃতি
সাদিক কায়েম এত বড় ভূমিকা পালন করেও নিজেকে কখনো আলোচনায় আনেননি, সরকারের সঙ্গে কোনো সুবিধা নেননি বা নিজের জন্য কিছু দাবি করেননি। আজ এই তথ্য প্রকাশের পর অনেকেই বুঝতে পারছেন কেন জুলকারনাইন সায়ের তাকে পার্সন অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছিলেন।

সাদিকুর রহমান খান তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন
"সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেও তিনি নিজেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিলেন। আজ আমরা জানতে পারলাম, আসল ত্যাগ স্বীকার কে করেছিলেন।"

এই প্রকাশিত তথ্যের পর জুলাই বিপ্লবের ইতিহাসে সাদিক কায়েমের ভূমিকা নতুনভাবে মূল্যায়নের দাবি উঠেছে।

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/1R6qWLYf2k/

মারিয়া

×