ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

বিকৃতির কবলে বাংলা ভাষা: দায়ী করা হচ্ছে একাধিক বিষয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৩:৪৫, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিকৃতির কবলে বাংলা ভাষা: দায়ী করা হচ্ছে একাধিক বিষয়

অ্যাকাডেমি থেকে একাডেমি, ফর্ম থেকে ফরম, পহেলা থেকে ১লা, অ্যাডভোকেট থেকে এডভোকেট। ছোটবেলায় পড়া ও শেখা এমন অনেক বাংলা শব্দের পরিবর্তনের ফলে মানুষের মধ্যে বাংলা ভাষাকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে ধোয়াশা। 
কখনো মুখের বলায়, কখনোবা লেখায়, আবার কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিকৃত হচ্ছে বাংলা ভাষা।
ব্যানার, পোস্টার, প্রচার-প্রচারণা, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও বানান ভুলের ছড়াছড়ি। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি নানা বিজ্ঞপ্তি ও সাইনবোর্ডেও যত্নের অভাব বানানে। এমনকি সরকারি পাঠ্যপুস্তকেও একাধিক ভুল। একই সঙ্গে বাংলা একাডেমি থেকে ক্রমাগত বাংলা ভাষার পরিবর্তনে যুক্ত হচ্ছে নিত্যনতুন শব্দ। তাতেও ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অরুচিকর ভাষার প্রয়োগ বা বিকৃতি, নষ্ট করছে ভাষার সৌন্দর্য। তাই আইন প্রয়োগের পরামর্শ তাদের। 
বিকৃত ও মিশ্র ভাষার ব্যবহারও নষ্ট করছে বাংলা বানানের সৌন্দর্য। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, শব্দের লিখিত রূপের একাধিক বানান। একটিকে শুদ্ধ, অপরটিকে ভুল বলার প্রবণতাও ভুল বার্তা দিচ্ছে ব্যবহারকারীদের মাঝে। 
ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষা ব্যবহার বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও সর্বস্তরে তা এখনো চালু করা যায়নি। 
‘বাংলা ভাষা যে চর্চার মধ্যে দিয়ে অর্জন করতে হবে, এই ধারণা থেকে আমরা অনেক দূরে চলে গেছি। সবাই মনে করছে বাংলা ভাষা এমনিতেই, স্বভাবতই আমরা পারছি। তাই বিশেষ চর্চার দরকার নেই বা অর্জন করতে হবে না, অন্য ভাষার পাশাপাশি।’ বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা বিভাগ, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এর প্রভাষক পায়েল ব্যানার্জী। 
বাংলা ভাষার এমন পরিবর্তনকে অনেকেই দেখছেন ইতিবাচক হিসেবে। আবার অনেকেই বলছেন, ভাষার এমন পরিবর্তন অব্যাহত থাকলে প্রাণের ভাষা হারাবে স্বকীয়তা। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে শুদ্ধ বাংলা পৌছিয়ে দেওয়াই হবে এই ভাষার মাসের অঙ্গিকার। 

মুমু

×