ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

শিক্ষাঙ্গনে সংঘাত নিয়ে যা বললেন তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ০০:৩১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০০:৩৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শিক্ষাঙ্গনে সংঘাত নিয়ে যা বললেন তথ্য উপদেষ্টা

ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অতীতের মতো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর পেশীশক্তি নির্ভর কোন কর্মকাণ্ডের সুযোগ দেয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচার অতীতের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান স্বৈরাচার হয়ে ওঠার সাহস না পায়।

দেশজুড়ে আয়োজিত উৎসবের ধারাবাহিকতায় ঢাকার প্রেস ইনস্টিটিউট পিআইবির উদ্যোগে চলছে তারুণ্য উৎসব। আলোকচিত্রগ্রাফি ও ভিডিও প্রদর্শনী সহ চলছে নানা আয়োজন।

এতে যোগ দিয়ে তথ্যপ্রদেষ্টা বলেন, দেশের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হত্যাযোগ্য ঘটে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান। পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে চালানো হয় গণহত্যা, যা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ও স্বীকৃত।

তিনি বলেন, “আমরা আন্দোলনের সময় হয়তো দেখেছি, শুধু আমরা যে ভিডিওটা দেখলাম, হয়তো পুলিশকেই দেখা যাচ্ছে। হয়তো পুলিশকে দেখা গিয়েছে, কিন্তু পুরা রাষ্ট্রযন্ত্রের এবং ফ্যাসিবাদী শক্তি, নানা ধরনের পক্ষ এই তাদের বিরুদ্ধে যে লড়তে হইছে। আমাদের ট্রাইবুনাল, সেই ট্রাইবুনালের যে বিচার কার্যক্রম, আমরা এই বছরের মধ্যেই বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান দেখতে পাবো। এবং শেখ হাসিনাসহ যারা প্রধানতম আসামি, তাদেরকে আমরা বিচারের আওতায় আনতে পারবো।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি পক্ষ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু অতীতের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর পেশীশক্তি নির্ভর কোন কর্মকাণ্ডের সুযোগ দেয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমাদের যে ধরনের ছাত্র রাজনীতি আমরা দেখে এসেছি, সে ছাত্র রাজনীতির অবসান না ঘটুক, আমরা ইতিমধ্যে সে ধরনের আলামত দেখতে পাচ্ছি। তবে এইটা আমাদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত হবে।

আমরা চাই, যে পক্ষেরই দোষ থাকুক না কেন, এইটা সুরাহা করে আমাদের ক্যাম্পাসগুলোতে যাতে পেশিশক্তি নির্ভর যে ছাত্র রাজনীতি, সেটা যাতে আমরা, সেই সংস্কৃতির আমরা বদল ঘটাতে পারি।”

বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে দ্রুত ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার কথাও জানান তথ্য উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “সকল পর্যায় থেকেই এই ব্যক্তিগুলোকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে।”

মো. মহিউদ্দিন

×