ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

নতুন প্রযুক্তিযুগে বাংলাদেশ, বদলে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ!

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২৩:৪৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নতুন প্রযুক্তিযুগে বাংলাদেশ, বদলে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ!

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুসের হাত ধরে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ডিজিটাল সুপার পাওয়ার হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এবার এমন এক অবিশ্বাস্য প্রযুক্তি আসছে, যা বদলে দেবে দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি। যখন অনেক মেগাসিটিতে মোবাইল ফোন পৌঁছায়নি, কিন্তু বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে মোবাইল ফোন পৌঁছে গিয়েছিল গ্রামীণ নারীদের হাত ধরে। পল্লী ফোনের ধারণা বাস্তবায়ন করে ড. মোহাম্মদ ইউনুস যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন।

এবার ড. ইউনুসের হাত ধরেই বাংলাদেশে আসছে আরেক যুগান্তকারী প্রযুক্তি। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক তার প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। পল্লী ফোন মডেলে স্টারলিংক ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে ফাইবার অপটিক পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। পাহাড়, নদী, হাওড়-বিল বা শহরের ইউটিলিটি লাইনের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক স্থানে এখনো ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হয়। এসব সমস্যা দূর করতেই স্টারলিংকের উদ্যোগ।

স্টারলিংকের মাধ্যমে আকাশে থাকা হাজার হাজার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে গহীন অরণ্য, দুর্গম পাহাড় এমনকি সমুদ্রের মাঝখানে থাকা নাবিক ও জেলেদের কাছেও। ফলে নিরবিচ্ছিন্ন হাই-স্পিড ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত হবে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ডিজিটাল হাব হিসেবে গড়ে উঠতে যাচ্ছে দেশটি। বর্তমানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলে এখনো টুজি ইন্টারনেট চালু থাকলেও বাংলাদেশ ফাইভজি ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে পারে সেখানে। মিয়ানমারে সংঘাত ও দুর্যোগে ইন্টারনেট সংযোগ বাধাগ্রস্ত হলেও, বাংলাদেশের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সে সমস্যা দূর করতে পারে। নেপাল ও ভুটানের পাহাড়ি অঞ্চলেও আকাশপথে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার এবং ভারতের সেভেন সিস্টার্স অঞ্চল একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। এই সংযুক্তির ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আরও উন্মুক্ত হবে। পণ্য পরিবহন সহজ হবে, নতুন বাজার সৃষ্টি হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/l7iOUpDeUKg?si=ubTtESKe9-OicjJQ

এম.কে.

×