
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের ১৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশনা
আদালতের নির্দেশনায় হারুন অর রশিদের নামে থাকা ১০০ বিঘা জমি, ৫টি ভবন ও ২টি ফ্ল্যাট ক্রোক করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, তার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে থাকা মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের দায়ের করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হারুনের নামে ঢাকার উত্তরায় ৭.৪৫ কাঠা জমির ওপর ৩ কোটি টাকার মূল্যের একটি ইমারত রয়েছে। এ ছাড়া গুলশানে ১০.৩৬ শতক জমিতে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার আরেকটি ইমারত রয়েছে। কুড়িলে সেমিপাকা একটি টিনশেড বাড়ি, খিলক্ষেতে এক তলা একটি দালান ও সেমিপাকা টিনের বাড়ি রয়েছে। এসব সম্পত্তি আদালতের আদেশে জব্দ করা হয়েছে।
অধিক সম্পদের বিবরণ
হারুনের নামে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে ৭ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাট এবং জোয়ার সাহারায় ৬ তলা ভবনের ৬ তলায় আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পাশাপাশি আশিয়ান সিটিতে তার নামে ৫ কাঠার একটি প্লটও জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জে হারুনের নামে থাকা ৯৯.১৮ বিঘা জমিও ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কেবল কিশোরগঞ্জেই তার নামে রয়েছে ৯১.৩২ বিঘা জমি।
দুদক আশঙ্কা করছে যে যেকোনো সময় এসব স্থাবর সম্পদ বিক্রি বা স্থানান্তর করতে পারেন হারুন অর রশিদ। এ কারণে তার সম্পদ ক্রোকের আদেশ চাওয়া হয়েছিল।
রাজু