ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

ঢাবিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থান

একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

প্রকাশিত: ২০:১৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:১৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

ছবি : সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিনকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে যে, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার সময় রাষ্ট্রপতি নীরব ছিলেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে চলমান গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানান সংগঠনের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।

“রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিও জানায় আন্দোলনকারীরা”

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “জুলাই ও আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই-বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু তখন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন। এটি কারও অজানা নয় যে, তিনি শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। এখন সেই সংসদ ভেঙে গেছে, এমপিরা পালিয়ে গেছেন, এমনকি শেখ হাসিনাও ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এখনও বহাল রয়েছেন। ছাত্রসমাজ তার পদত্যাগ দাবি করলেও তিনি সরে যাননি, কারণ তিনি কায়েমি স্বার্থবাদীদের সমর্থনে টিকে আছেন।”

তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিন যেন একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না যান। বিশেষ করে তিনি যেন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা না রাখেন। কারণ জনগণ তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেনে নেয়নি।”

“গণঅবস্থান ও লাগাতার কর্মসূচি চলছে”

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা হয়। পরবর্তীতে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরাও এতে যুক্ত হন।

১৬ ফেব্রুয়ারি, জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে নিহত রানা তালুকদারের পরিবার এ আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়। তাদের অনুরোধে অনশন কর্মসূচি শেষ হলেও লাগাতার গণঅবস্থান অব্যাহত রয়েছে।

গণঅবস্থানের অংশ হিসেবে প্রতিদিন গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা পাঠ ও সঙ্গীত পরিবেশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

মো. মহিউদ্দিন

×