ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১

 ভারত নয়, প্রবাসীদের জন্য ইলিশ যাচ্ছে সৌদি আরব ও দুবাই

প্রকাশিত: ১১:১৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 ভারত নয়, প্রবাসীদের জন্য ইলিশ যাচ্ছে সৌদি আরব ও দুবাই

বিদেশে বসেই দেশের ইলিশ খেতে পাবেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা। এই দুই দেশের প্রায় ৬৬ লাখ রিয়েল হিরো অর্থাৎ রেমিটেন্স যোদ্ধারা বসবাস করেন। ছাত্র জনতার অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানের সময় রেমিটেন্স যোদ্ধারা ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। শুধু তাই নয় পাঁচ আগস্টের পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠিয়ে। তাই রেমিটেন্স যোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার জন্যই অন্তর্বর্তী সরকার সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হাজার হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করবে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন, দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। এমনকি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশের ছাত্র জনতার পাশে ছিলেন তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সীমিত আকারে ইলিশ মাছ রপ্তানির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী সর্বাধিক প্রবাসী কর্মজীবী রয়েছেন সৌদি আরবে। তাদের সংখ্যা প্রায় ৪৪ লাখ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী আছেন প্রায় আরও ২২ লাখ। এই প্রবাসীদের জন্য ইলিশ রপ্তানি করবে অন্তর্বর্তী সরকার। সারা বছর পাঠানোর না গেলেও অধিক ইলিশ প্রাপ্তির সময় প্রবাসীদের জন্য ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিকভাবে এ দুটি দেশে মোট ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুপারিশ করা হবে। চলতি বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর অন্যান্য দেশে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। শুধু তাই নয়, এতদিন বাংলাদেশে যখন ইলিশ মাছের প্রজনন সময় মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকে সেই সময় ভারতের জেলেরা অবাধে ইলিশ মাছ ধরে নিয়ে যেত। এখন থেকে সেটা আর সম্ভব নয়।

সচিবালয় এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে মিল রেখে এবার সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময় ঠিক করেছে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের জেলেরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ রাখেন তখন প্রতিবেশী দেশের জেলেরা অবাধে ইলিশ মাছ শিকার করেন। শুধু তাই নয়, মাঝেমধ্যে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের জলসীমায় আর ধরে নিয়ে যান বিপুল পরিমাণ ইলিশ।

এ কারণে মৎস্যজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে নিষেধাজ্ঞার সময় সমন্বয়ের দাবি করে আসছিলেন। এবার সেটা হয়েছে। উপদেষ্টা ফরিদা আক্তারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলেসহ সর্বস্তরের মানুষ।

সজিব

×