
জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আইন ও বিবেক অনুযায়ী জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তর্র্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনে ডিসিরা (জেলা প্রশাসক) নির্ভয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
তাদের ওপর নির্বাচন ঘিরে কোনো চাপ বা প্রভাব থাকবে না। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তিনদিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনের যার যার অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টারা এসব কথা বলেন।
পাশাপাশি উপদেষ্টাদের কাছে ডিসিরাও দেশ পরিচালনার সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে শেষ দিনে ডিসিরা বলেন, শুধু প্রশিক্ষণ নয়, সরকারি যারা বিদেশ সফর করবেন, তাদের প্রত্যেকের একটি ডাটাবেইজ করা যেতে পারে। এছাড়া ‘ইউনিভার্সাল মিলিটারি ট্রেনিং’ চেয়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলার প্রশাসকরা (ডিসি)। দেশের প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতায় তরুণ-যুবাদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ চেয়েছেন তারা। উপদেষ্টারা তাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বড় আশা ছিল, দেশ থেকে দুর্নীতি কমাতে হবে। দুর্নীতির মূলোৎপাটন না করতে পারলে দেশের উন্নতি সম্ভব না। সব লেভেল থেকে দুর্নীতি কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছি। এই অধিবেশনে কৃষিতে কীভাবে আরও উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে ডিসিদের প্রস্তাব আমরা নিয়েছি। আমাদের পরামর্শও দিয়েছি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটি আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কীভাবে আরও ভালো করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আরও ভালো করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট কতদিন চলবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ডেভিল হান্ট অভিযান চলছে। যতদিন ডেভিল থাকবে, ততদিন এই অভিযান চলবে।
আইন-বিবেক অনুযায়ী ডিসিদের কাজ করার নির্দেশ ॥ আইন ও বিবেক অনুযায়ী জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের পঞ্চম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপদেষ্টা। আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ অধিবেশন হয়। আইন উপদেষ্টা বলেন, ডিসি সম্মেলন আমার জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা। আমার কাছে মনে হয় এটা খুব জরুরি ছিল। ওনারা মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন দেখেন, বাস্তবায়নে কি কি সমস্যা আছে ওনাদের থেকে কেউ ভালো জানেন না।
তিনি বলেন, ডিসিরা আমাদের বললেন, যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তাদের যখন ধরা হয়, তখন দেখা যাচ্ছে তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এটা ওনাদের কনসার্ন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালতের কাজই তো হচ্ছে উপযুক্ত ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া। এ ধরনের কিছু সমন্বয়ের ব্যাপার আসছে।
ডিসিদের বলেছি আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মামলার ক্ষেত্রে আমাদের সলিসিটর যে উইং আছে, তারা আরও ভালোভাবে সমন্বয়ের জন্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা বলেছি। ডিসি অফিসগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রয়েছে স্থান-সংকুলানের সমস্যা। সেটার সমাধানের জন্য কি করা যায়, সেই বিষয়ে কথা বলেছি।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে আমরা তাদের একটি অনুরোধ করেছি-যারা এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার পর ছাত্ররা কয়েক মাস সময় পায়। ওই সময়টাতে ওনারা যেন তাদের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে নিয়ে আসেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ডিসিরা আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। ওনারা বলেছেন বিদেশে যারা যেতে চায়, তাদের সবার যেন ডাটাবেজ করা হয়। শুধু প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছেন তাদের না। ওনারা যেটি বলেছেন সেটি আমরা সত্যি ভাবছি। যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের ডাটাবেজ করার পদক্ষেপ নিয়েছি, অচিরেই কাজ শুরু হবে।
এছাড়া জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে আরও সচেতনতা সৃষ্টির কথা বলেছেন। সরকারি যে রিক্রুটিং এজেন্সি আছে সেগুলোকে শক্তিশালী করার কথা বলেছেন। আমাদের কাছে ভালো লেগেছে এটা ভেবে যে, এটা তো আমরাও ভাবছি।
প্রশাসনের সবচেয়ে মেধাবী কর্মকর্তারা ডিসি হন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু রাষ্ট্রের এত বড় একটি রিসার্চ রিসোর্সকে গত সরকার জনগণকে অত্যাচার ও নিপীড়ন করার জন্য, তাদের অপকর্ম জায়েজ করার জন্য ব্যবহার করেছে। সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে এটা যদি আমরা পজিটিভভাবে কাজে লাগাই, জনগণের সেবার জন্য, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করার জন্য, ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা সেবা দেওয়ার জন্য- সেই ক্যাপাবিলিটি তাদের আছে। কিন্তু ওই রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনা থাকে না।
নির্বাচনে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন ডিসিরা ॥ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তর্র্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনে ডিসিরা নির্ভয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তাদের ওপর নির্বাচন ঘিরে কোনো চাপ বা প্রভাব থাকবে না।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে হবে। কাজেই এবার ডিসিদের দলীয় তকমায় সুযোগ নেই। এরপরও কোনো ডিসির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকলে আমরা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেব। তবে এবারের নির্বাচনে ডিসিরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন। কারণ, নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য কোনো দলের পক্ষ থেকে তাদের প্রভাবিত করার সুযোগ নেই।
পলিথিনের বিকল্প বাজারে না এনেই বন্ধের সিদ্ধান্ত কতটা সফল হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে পলিথিন বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা শহরে প্রতিদিন দুই কোটি পলিথিন হয়। অথচ আমরা চাইলেই এর ব্যবহার থেকে বের হতে পারি। সবার বাসায়ই চটের বান-কাপড়ের ব্যাগ রয়েছে। চাল কেনার বস্তা, পুরোনো শাড়ি দিয়েও ব্যাগ বানানো যায়। আমরা যুব মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাপড় ও চটের ব্যাগ বাজারে আনার চেষ্টা করছি। এটা অসম্ভব কোনো কাজ নয়।
তরুণ-যুবাদের সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব ডিসিদের ॥ ‘ইউনিভার্সাল মিলিটারি ট্রেনিং’ চেয়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। দেশের প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতায় তরুণ-যুবাদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ চেয়েছেন তারা। অধিবেশন শেষে এ কথা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী আব্দুল হাফিজ। তিনি এও বলেছেন, সরকার চাইলে তরুণ-যুবাদের সামরিক প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত হবে।
আব্দুল হাফিজ বলেন, ডিসিদের পক্ষ থেকে যুব সমাজের জন্য ইউনিভার্সাল মিলিটারি ট্রেনিং দেওয়া যায় কিনা- এমন প্রস্তাব এসেছে। যুবারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন; দেশের প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল জেনারেল স্টাফ এ নিয়ে সুন্দর কথা বলেছেন। এটা ভালো দিক, তবে সিদ্ধান্তটা রাজনৈতিক। সরকার চাইলে সামরিক বাহিনী প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তত।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী আরও বলেন, এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমরা চিন্তা করতেই পারি। আমরা সরকারকে জানিয়েছি-এটা জনগণের সিদ্ধান্ত, সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকার চাইলে, নির্দেশনা পেলে সশস্ত্র বাহিনী করতে প্রস্তুত।
কুকি-চিন নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ। অধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের সেনাবাহিনীর প্রতি কুকি-চিন নিয়ে প্রশ্ন ছিল জানিয়ে আবদুল হাফিজ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি যে সন্ত্রাসী কর্মকা- করছে সেটার কারণে সেখানে কয়েকটি উপজেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে সেখানকার যুব সমাজ কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে। যার ফলে তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। এ থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায়, সে ব্যাপারে প্রশ্ন ছিল।
বিশেষ সহকারী বলেন, আমরা বলেছি, কুকি-চিনের বিরুদ্ধে যে অভিযান সেটা চলছে। এ পর্যন্ত অভিযান করতে গিয়ে আমাদের সাতজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। অনেক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। এ অভিযান চলবে তারা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক চান ॥ দাদন থেকে মৎস্যজীবী ও খামারিদের বাঁচাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংকের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কথা হয়েছে আজকের সম্মেলনে। গবাদিপশু পালনকারীদের কৃষি ঋণ সুবিধার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাই আমরা।
‘জাল যার জলা তার’-নীতি অনুসরণ করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সরকারি জলমহাল ইজারা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। এমন তথ্য জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের জলমহলগুলো অমৎস্যজীবীরা ইজারা পাবে সেটা হবে না, প্রকৃত মৎস্যজীবী যারা তারা পেলে উপকৃত হবেন। এসব ইজারা বিষয়ে ডিসিদের বড় ভূমিকা থাকে, আমরা নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন সেটা ঠিকভাবে করেন।
তিনি বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ অভিযান এবং অবৈধ জাল ও ফিশিং গিয়ারের ব্যবহার বন্ধে অভিযান জোরদার করার বিষয়ে বলা হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ উদ্করা হবে ॥ অতীতের ন্যায় এবারও যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদ্করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, শিল্প-সাহিত্য চর্চা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখন প্রচুর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। আর পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি বড় উৎসব। এটি প্রত্যেকবার যেভাবে পালিত হয় এবারও সেভাবেই পালিত হবে। ফারুকী বলেন, আমরা অস্বীকার করছি না যে, কোথাও কোথাও সাংস্কৃতিক কর্মকা- বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। তবে অনেক জায়গায় সফলভাবে অনুষ্ঠানও হচ্ছে। যেখানে সমস্যা, সেখানেই আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান করার চেষ্টা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাট্য উৎসব বন্ধের পেছনে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। তাদেরই (নাট্যকর্মীদের) আরেক দলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সেটি বন্ধ করা হয়েছে। কোনো বিশেষ সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী এর সঙ্গে জড়িত নয়। আর এর সঙ্গে সরকারেরও কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি বলেন, আমি সব কাজ ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে করব না। অনেক কাজ আমি আড়ালে করে থাকি। সব কাজ শুধু ঘোষণা দিয়ে ক্রেডিট নিতে হবে তা নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কথা অনেকে বলবে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে প্রত্যেকটি কথার উত্তর আমরা দিতে পারি না।