
অনলাইন একটিভিস্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সালমান আমীন তার একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আলেমদের নেতৃত্বে একটি দক্ষ ও দায়িত্বশীল ফ্যাক্ট-চেকিং টিম গঠন করা সময়ের দাবি। ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক তথ্যের মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। যথাসম্ভব দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
তিনি আরো লিখেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উন্মুক্ত পরিবেশে সত্য-মিথ্যার যাচাই ছাড়াই যে কেউ যে কোনো তথ্য প্রচার করতে পারে। বিশেষ মহল এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা বানিয়ে তুলতে উঠে-পড়ে লেগেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, ইসলামপ্রিয় ব্যক্তিবর্গ—বিশেষ করে আলেম-ওলামা ও ইসলামী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তথ্য সন্ত্রাসের প্রধান শিকার। বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে ইসলামি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হয়েছে। গুম, খুন ও নির্যাতনের পাশাপাশি তথ্য সন্ত্রাসও চালানো হয়েছে। শাপলা চত্বরের ঘটনার পর নির্যাতিতদের লাশকে নিয়েও কটূক্তি করা হয়েছে। নানা ধরণের গুজব ও ইস্যু তৈরি করে ঘটনাকে বারবার অন্য খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। মাদ্রাসার ছাত্র ও আলেমদের ‘জঙ্গি’ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। এসব অপপ্রচারের ফলে অনেক সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে, যা ইসলামপ্রিয়দের জন্য এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক