ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত বৈঠকে উঠে এলো যে উদ্বেগ

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৪:৪৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত বৈঠকে উঠে এলো যে উদ্বেগ

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের সময়ে কূটনৈতিক সম্পর্কে তীব্র টানাপোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত, শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেয়া, সীমান্তে অস্থিরতা, এবং সাম্প্রতিক সময়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন এক জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে। এমনকি দু'দেশ পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে এবং সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলেও স্বীকার করেছে।

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসাথে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ওমানের রাজধানী মাস্কটে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

এই বৈঠকে তৌহিদ হোসেন গঙ্গা নদীর পানি বন্টন চুক্তির নবায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরুর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি সার্ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকের গুরুত্বও উল্লেখ করেন এবং ভারত সরকারকে এ বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়া আগামী ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক সম্পর্কে আশাবাদী দুই পক্ষ।

এছাড়া, তৌহিদ হোসেন এবং জয়শংকর দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ এবং উদ্বেগের বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা করেছেন। গেল বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তাদের আলোচনার প্রসঙ্গও উত্থাপন করা হয়। গত ডিসেম্বরে ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং ১০-১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে জ্বালানি উপদেষ্টা সম্মেলনেও আলোচনা হয়।

বৈঠকে সীমান্ত সংকট সমাধানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি নবায়নের আলোচনা শুরুর বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর একটি টুইটে তাদের বৈঠকের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, "বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো। আলোচনার কেন্দ্র ছিল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিমস্টেক।"

মাস্কাটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি ছিল আধঘণ্টারও কম সময়ের, তবে এতে দুই দেশের সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তৈরি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় একসাথে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের আলোচনায় আগামী এপ্রিলে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আয়োজনের প্রসঙ্গও এসেছে।

এই বৈঠকটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=5vV-pTI_cdc&ab_channel=EkattorTV

নুসরাত

×