
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি খান মো. আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। রবিবার দুপুরে রাজধানীর ইসিবি চত্বরে এই মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এ সময় তারা আক্তারুজ্জামান ওরফে আক্তার হোসেনের ফাঁসির দাবি করেন।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের আর্শিবাদ পেয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ইসিবি চত্বর এলাকার ত্রাস হয়ে উঠে আক্তার। গুম-খুন চক্রের গডফাদার এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা সঙ্গে জড়িত তিনি। ইসিবি চত্বর এলাকায় কথিত অনলাইন প্রপার্টিজের অফিস করে বেসিক ব্যাংক থেকে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা ঋণ নেয় আক্তার। পরে সেই ঋণ পরিশোধ না করে বিদেশে টাকা পাচার করেন। এছাড়াও ইসিবি চত্বর এলাকার আশেপাশের শতাধিক অসহায় মানুষের জমি দখল করে নিঃস্ব করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে তার বিরুদ্ধে।আক্তারের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা ও হামলার ঘটনায় মামলাও হয়েছে। জানা গেছে, আন্দোলনের শুরু থেকে ক্যান্টনমেন্ট ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা ও ভাষানটেক এলাকায় আন্দোলনকারীদেরকে দমাতে তার নেতৃত্বাধীন কিশোর গ্যাং সাধারণ মানুষের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং আন্দোলনকারীদের হয়রানি করতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় গত ৫ আগস্টের পূর্বে মামলা করে। সরকার পতনের দিন মিরপুর-১৪ নম্বরে বিজয় মিছিলরত ছাত্র জনতার উপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে ফজলু নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন। এই ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বরে ভাষানটেক থানায় হত্যা মামলা হলে তাকে ২২ নম্বর আসামি করা হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি যৌথবাহিনীর অভিযানে আক্তারকে আটক করা হলেও এলাকাবাসীর দাবি আত্মগোপনে থেকে আটকের নাটক করছে আক্তার।
মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক ভুক্তভোগী স্বপ্না আক্তার বলেন, আক্তার হোসেন নিজেকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মেয়ের উকিল শ্বশুর পরিচয় দিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। সাধারণ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে থানা পুলিশ ও ডিবিকে ব্যবহার করেছে। এছাড়া আক্তারের বিরুদ্ধে কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করত। আক্তারুজ্জামানের হয়রানি থেকে বাঁচতে ও গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের শেখ মো. সাজ্জাত আলীর কাছে পৃথক দু’টি লিখিত অভিযোগও দেয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ভূইয়া।
স্বপনা আক্তার বলেন, ২০০৬ সালের দিকে বাকি খেয়ে ২ হাজার ৩০০ টাকা পাওনা করে আক্তার। টাকা না দেওয়ায় একদিন খাবার বন্ধ করে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে সখ্যতা তৈরি হলে ৬৮ লাখ ক্যাশ টাকা হাতিয়ে নেয়। আমার মাধ্যমে ল্যান্ডের ব্যবসা শুরু করে। ২০১২ সালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমাকে মারে। এরপর শত্রুতা শুরু। গত ১০ বছর রাজনৈতিক, মাদক ও জমিজমার মামলা দেয়। এর বিচার চাই।
রাজু