
ছবি : সংগৃহীত
জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, রাজাকার রাজাকার গালি দেওয়ার দিন শেষ। আল্লাহ তো আমাদেরকে দেখাইছে রাজাকার শব্দটা এখন একটা অ্যাওয়ার্ড হয়ে গেছে। পরিস্থিতি পাল্টে দিতে আল্লাহর সময় লাগে না। আমাদেরকে বলে মৌলবাদী, আমরা আসল কথা বলি, ভালো কথা বলি, দেশপ্রেমের কথা বলি, আমরা জনগণের কথা বলি। আমরা মাটি ও মানুষের এর কথা বলি। আমরা ইসলামের কথা বলি, আমরা দেশের সমৃদ্ধির কথা বলি, এজন্য আমাদেরকে বলে মৌলবাদ। আবার আমাদেরকে বলে ধর্ম ব্যবসায়ী।
আমরা ধর্মের সত্য কথা প্রচার করি, যেটা দেশের ভালো, জনগণের ভালো, সেটা উপস্থাপন করি। আমাদের যারা ইসলামের কথা বলে, যারা কোরআনের কথা বলে, এরা ধর্ম ব্যবসায়ী নয়। খবরদার আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। আলেমদের পক্ষে থাকলে আপনার জীবন উজালা করে দিবে কে? আল্লাহ। “হয় আলেম হও, নয় আলেমের ছাত্র হও, নয় আলেমকে মহব্বত করো, নয় আলেমকে সাপোর্ট করো।”- এই চারটা করো, পাঁচ নাম্বার হইয়ো না। আলেম বিদ্বেষী হইয়ো না। তাহলে দুনিয়াও শেষ, আখিরাত শেষ।
তিনি বলেন, খবরদার নিজেকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবেন না। এদেশের আসল পরিচয় ইসলাম। এদেশের আসল পরিচয় কি?
এদেশে আযান শুনে সূর্য উঠে শহর গ্রামে, এদেশে আজান শুনে সূর্য ডুবে সন্ধ্যা নামে, এদেশে সকল কাজে সবাই বলে বিসমিল্লাহ, এদেশে ভালো কিছু দেখে শুনে হাসি মুখে সবাই বলে মাশাআল্লাহ,সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ।
ও নবী তরুণ তোমার কিসের এত ভয়, জেনে রেখো বাংলাদেশের আসল পরিচয়, এদেশের আসল পরিচয় ইসলাম। এদেশে পরস্পরের দেখা হলে দেয় সালাম, এদেশে আম জনতার হৃদয় জুড়ে পাক কালাম।এদেশে পরস্পরে দেখা হলে দেয় সালাম, এদেশে আম জনতার হৃদয় জুড়ে পাক কালাম। এদেশে খারাপ হলে সর্বজনে সর্বক্ষণে দোয়া পড়ে ইন্নালিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ।
এদেশে আজান শুনে সূর্য ওঠে শহর গ্রামে, এদেশে আজান শুনে সূর্য ডুবে সন্ধ্যা নামে, এদেশে সকল কাজে সবাই বলে বিসমিল্লাহ, এদেশে ভালো কিছু দেখে শুনে হাসি মুখে সবাই বলে মাশাআল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ।
আজহারি বলেন, রাব্বুল আলামিন বলেন, “ও নবী, ধৈর্য ধারণ করেন। যাই বলুক, আপনি মন খারাপ করবেন না। ওদেরকে আপনি ইগনোর করেন, ইগনোর করেন। ওদেরকে দাম দেওয়ার দরকার নাই।” ধৈর্যই আমাদের শক্তি, ধৈর্যই আমাদের সম্বল। ধৈর্য এমন একটা গাছ, খেয়াল করে শোনেন, জরুরি কথা, ধৈর্য এটা এমন একটা গাছ, যেই গাছের চারিদিকে কাটা কিন্তু এই গাছের ফলটা বড় মিষ্টি।
ধৈর্য এমন একটা গাছ, যে গাছের চারিদিকে কাটা কিন্তু এই গাছ ফল বড় মিষ্টি, সুমিষ্ট। আমরা ১৬ বছর ধৈর্য ধরছি না! এই ফলাফল আমাদেরকে আরশের উপর থেকে দান করেছে কে! আল্লাহ। বিপদ আসবে, জুলুম আসবে, একটু ধৈর্য ধারণ করবেন। ফলাফল পেয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, এজন্য আল্লাহ বলেন, “ধৈর্যশীল বান্দা-বান্দিদেরকে আমি বড্ড পছন্দ করি।”
আল্লাহ বলেন, “এই জমিনে আমি ভয় দিয়ে, ক্ষুধা দিয়ে, জানমালের হানি দিয়ে, সম্পদ হানি দিয়ে, তোমাদেরকে পরীক্ষা করব।” এই পরীক্ষায় সফল হবে তারা, ধৈর্য ধারণ করেছে যারা। ধৈর্য ধারণ সাথে আল্লাহ আছে। এমন গাছ, যে গাছের চারিদিকে কাটা ফলটা বড় মিষ্টি।
বিশ্বনবী বলেন, এই যে ঈমানদারদের ব্যাপারটাই আলাদা। ব্যাপারটাই আলাদা, একজন ঈমানদার ছাড়া অন্য কেউ এই বরকত পায় না। কি বরকত? ঈমানদাররা ভালো অবস্থায় থাকলে শুকরিয়া করে। এটা তার জন্য ভালো। শুকরিয়া করলে সওয়াব আছে না, নাই! মুমিনরা বিপদে পড়লে ধৈর্য ধরে।
আচ্ছা বলেন তো, ধৈর্য ধরলেও সওয়াব আছে! না নাই! তাহলে সুখের সময়, শোকর দুঃখের সময়, সবর উইন-উইন সিচুয়েশন। আমাদের সারা জীবনই এই দুই আমল আছে না! নাই! হয় আমরা শোকর গুজার হই, নয় সবর করি। সুখের দিনে আমরা শোকর, বিপদের দিনে সবর এখতিয়ার করি। তাহলে হয় শোকর, নয় সবর। যখনই থাকি, যে অবস্থায় থাকি, আমাদের সওয়াব আছে না! নাই!
আবার আল্লাহর নবী আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন, তিনি বলছেন, আল্লাহ আপনি আমারে শোকর গোজার বান্দা বানান, আল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীল বান্দা বানান, আমার চোখে আপনি আমারে ছোট বানান, জনতার চোখে আপনি আমারে বড় বানান।
তাহলে ধৈর্যশীল নারী পুরুষ আল্লাহ পছন্দ করেন। এক নাম্বারে মুসলিমিন মুসলিমাত, দুই নাম্বারে মুমিনিন মুমিনা, তিন নাম্বারে কলিদ্বিন কলিনাত, চার নাম্বারে সাদেকিন সাদেকাত, পাঁচ নাম্বারে সাবিরিন সাবেরান। যারা আল্লাহর কোন আদেশ অমান্য করার ভয়ে যাদের হৃদয়ের প্রকম্পন শুরু হয়ে যায়, আল্লাহর আদেশ না জানি লঙ্ঘন হয়, সবসময় হৃদয় কাঁপতে থাকে, হৃদয় থাকে খুশু।
আল্লাহ বলেন, সফল হয়েছে ঐ ব্যক্তিরা যারা ঈমান এনেছে, আর যারা নামাজের যখন দাঁড়ায়, তারা বিনীতভাবে আল্লাহর সামনে দাঁড়ায়, নামাজের জায়নামাজে যখন দাঁড়াবো, আমরা ভাববো হতে পারে এটাই আমার জীবনের শেষ নামাজ। এই চিন্তাটা নামাজে যখন দাঁড়াই, এই চিন্তাটা মাথায় রাখা যাবে! যখন দাঁড়াবো, ভাব হতে পারে, দিস কুড বি মাই লাস্ট এন্ড ফাইনাল সালাত। হতে পারে এটাই আমার জীবনের শেষ। আর তাইলে অন্তরে খুশু আসে, অনেকে বলে হুজুর নামাজে দাঁড়ায় মনে থাকে না, করছি ভুলে যাই, কি করছি ভুলে যাই, দিন দুনিয়ার কথা খেয়াল আসে, সারাদিন যেটা মনে করতে পারি না নামাজে দাঁড়াইলে ওটা মনে করে।
মো. মহিউদ্দিন