
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় গত তিন মাসে বেনাপোল দিয়ে ১৩,৯৬৮ টন চাল আমদানি করা হলেও দেশের বাজারে চালের দাম কমছে না, বরং কেজিপ্রতি এক-দুই টাকা করে বেড়েছে।
এ অবস্থায় সরকার চাল আমদানির সময়সীমা ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নন-বাসমতি সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি খোলার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। তবে আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে চালের দাম বেশি হওয়ায় আমদানিকৃত চালও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, দেশে ধান-চালের কোনো সংকট না থাকলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণে দাম কমছে না। বিশেষ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে যথাযথ নজরদারি না থাকায় সাধারণ মানুষ বেশি দামে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মোটা চাল ৫২, মিনিকেট ৬৮-৭০, বাসমতি ৯০-৯২ ও নাজিরশাইল ৮৪-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিল মালিকরা জানান, নতুন ধানের চাল বাজারে এলেও কৃষকরা দাম বাড়ার আশায় ধান মজুদ করে রাখছেন, ফলে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। সরকার আশাবাদী যে আমদানি কার্যক্রম সম্পন্ন হলে বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক হবে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, কারণ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা কঠিন হয়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/1AvTkPXu6r/
মারিয়া