সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, এই কমিশনপর মেয়াদ ৬ মাস। সেক্ষেত্রে কমিশনের লক্ষ্যে হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব আমরা ঐক্যমতে পৌঁছাতে চাই। যেহেতু ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও আমরা দিয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করার জন্য একটু সময় তাদের দিতে হবে। আমরা চাই, অত্যান্ত দ্রুততার সাথে। কেননা এই সংস্কার কর্মসূচিগুলো অগ্রসর হওয়া এবং ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার যাতে আমরা নির্বাচনের পথে এগুতে পারি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, সংলাপ নয়, আজকের লক্ষ্য ছিল জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের প্রক্রিয়া কী হবে সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা। মূলত, এটাকে আমরা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছি। এখানে ২৭টির বেশি দল ও জোট মিলিয়ে ১০০ জনের বেশি নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩২ জন কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে যেটি স্পষ্ট হয়েছে, সেটা হলো তারা মনে করে জাতীয় ঐক্য রক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়চিত্ততা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়াকে সাহায্য, সহযোগিতা করবে, অংশগ্রহণ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের প্রধান বলেছেন, 'ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই৷ আমরা প্রত্যেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে, সমাজের নাগরিক হিসেবে, মানুষ হিসেবে এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠভাবে এগিয়ে নেওয়া দায়িত্ব।'
আলী রীয়াজ বলেন, আমরা আশা করছি, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের কাজ এখন শুরু হবে। আমরা আলাদা আলাদাভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলবো, জোটগতভাবেও কথা বলবো এবং এক পর্যায় হয়তো আশা করছি, সকলকে একত্রিত করে আমরা আবার ফিরে আসবো। এই প্রক্রিয়াটা আমরা দীর্ঘসূত্রতা করতে চাই না, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এটা করতে পারবো আশা করছি।
এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাতখে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছে, যে সব প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর তাদের কাছে হার্ড কপি পোঁছে দেওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্তা নিতে। সর্বোপরি ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কারো কোনো রকম দিধার সুযোগ নেই। সে আলোকে খুব দ্রুত আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে অগ্রসর হতে চাই। যতটুকু কাজ হয়েছে, তা সূচনা মাত্র।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, ছয় মাসের কম সময়ে সম্ভব হলে, রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ আছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও মনে করে যত দ্রুত সম্ভব,এটা তো একসাথে হবে না, কিছুটা সময় লাগবে অগ্রসর হতে।
আফরোজা
