![কর্নেল তাহেরের পথে হাঁটবেন না অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা কর্নেল তাহেরের পথে হাঁটবেন না অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/13---2025-02-15T201748112-2502151418.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত।
সম্প্রতি সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের গুঞ্জন শোনা গেছে। তবে ৪ ফেব্রুয়ারি নিজের ফেসবুক পোস্টে ইকবাল করিম ভূঁইয়া এই গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন তার রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে প্রকাশিত খবর সঠিক নয়।
সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফজলে ইলাহি আকবর বলেন, বাংলাদেশর বিরাজমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে এটি প্রায় ইউটিপিয়ান একটি আইডিয়া। এটি অসম্ভব। এটি হতেই পারে না। তবে হ্যাঁ একজন নাগরিকের রাজনৈতিক দল গঠন ও রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। তবে শুধু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা একটি দল গঠন করবে এটা অসম্ভব। তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় আমরা যেভাবে ডেইলি রুটিন এবং শৃংখলার মধ্যে থাকি বাস্তব রাজনীতিতে তার সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
কর্নেল তাহের ১৯৭৫ সালের ১৯শে আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এর পতন ঘটানো। তিনি এই অভ্যুত্থানে অংশ নেন এবং অনেক সেনা কর্মকর্তার সমর্থন পেয়ে সরকার উৎখাত করার চেষ্টা করেন। তবে এই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয় এবং তাহেরসহ অন্যান্য নেতা ও সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর, কর্নেল তাহেরসহ বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং ১৯৭৬ সালের ২১শে মে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার মৃত্যুর পর, তাকে বাংলাদেশে এক ধরনের শহীদ হিসেবে স্মরণ করা হয়, যদিও তার ভূমিকা রাজনৈতিকভাবে অনেক বিতর্কিত।
কর্নেল তাহেরের অভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী মৃত্যু বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি বিতর্কিত অধ্যায়। তার কর্মের উদ্দেশ্য ছিল সরকার পতন, কিন্তু তার কার্যক্রমের পরিণতি দেশ ও জাতির জন্য কী ধরনের উপকারে এসেছে, তা নিয়ে এখনও নানা মতপার্থক্য রয়েছে। যদিও কেউ কেউ তাকে রাষ্ট্রীয় শত্রু মনে করেন, আবার অন্যরা তাকে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শ্রদ্ধা করেন।
সূত্র: https://youtu.be/MUHlKFazKis?si=przerXW7xs8OrrTW
মুহাম্মদ ওমর ফারুক