![সবুজ সংকেত পেলেন না শেখ হাসিনা, না চেনার ভান করলেন মোদী সবুজ সংকেত পেলেন না শেখ হাসিনা, না চেনার ভান করলেন মোদী](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/19-3-2502151344.jpg)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোটি টাকার জ্বালানি পুড়িয়ে হাজির হয়েছিলেন মার্কিন মুলুকে।ওভাল অফিসে সেখানে গিয়ে দেখলেন, আসলে শীতের মেঘে গোপন ও কুয়াশা লেগে ছলনা উঠেছে জেগে এ নহে বাদল।
ট্রাম্পের সাথে ওয়াশিংটনে যখন বৈঠক চলছে মোদীর তখন গদির আশায় থাকা একদল মানুষের বুকের ভেতর করছে আসা জ্বলজ্বল। এই বুঝি আসছে সুখবর, ক্ষমতাহীনতার খরা ঘোচাতে আসছে কাঙ্খিত বাদল।
তেমন কিছু হল না। সামনে পড়ে থাকল কেবল তপ্ত বালু। যে বালুতে পা পুড়ে খাক গলায় পরে ফোসকা।কেবল সংবাদিক সম্মেলন নয় তৃষিত ভারত ট্রাম্প মোদীর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলেছিল। আশা ছিল হালে পানি পাওয়া যাবে৷ দিল্লির অজ্ঞাতস্থানে গেল অগাস্ট থেকে যার বাস, তিনি হয়তো এ বার বাইরের রোদ গায়ে মাখতে পারবেন। তাঁকে এবার মুক্তি দেবে দিল্লির দূষিত বাতাস। বাংলাদেশ না হোক আমেরিকা ভ্রমণের একটু সবুজ সংকেত হয়তো তিনি পেতে পারেন। সেই সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উপরও দেওয়া হতে পারে একটা বড়সড় চাপ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য সেই পথে হাঁটলেন না। শত শত বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে তার দ্বিমত আছে। বাইডেন আমলের বহু নীতি তিনি অস্বীকার করেছেন। নিমেষেই বদলে দিয়েছেন নির্বাহী আদেশে। তবে ভারতীয় সাংবাদিক শেখ হাসিনার পতনের জন্য সরাসরি ভাবে বাইডেন প্রশাসনের উপর দোষ চাপালে, ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিলেন যে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হাজির করা হয়েছে, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। বাইডেনের উপর দোষ চাপিয়ে ট্রাম্পকে খুশি করে স্বীকারোক্তি আদায় ব্যর্থ হয় ভারত।
উল্টো ট্রাম্প সোজা জানিয়ে দেন, হাসিনা পতনে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কোনও হাত নেই। ওয়াশিংটন এই বিষয়ে কোনও ভূমিকা রাখেনি। বরং এই বিষয়ের চর্চা বহু বছর ধরে ভারত করে আসছে। তাই সেই প্রশ্নটিই তাঁকে নয় মোদীকে করাই শ্রেয়। সেখানেই থামেননি ট্রাম্প। সরাসরি প্রশ্নটি তিনি মোদীর কোর্টেই ঠেলে দেন। তবে বিষন্ন মোদী তখন মিত্র হাসিনাকে না চেনার ভান করেন।
সোজা দক্ষিণ এশিয়া থেকে একলাফে চলে যান ইউরোপে। কথা বলতে শুরু করেন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ।মোদী কথা না বললেও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সত্যটা আড়াল করতে পারেননি। ট্রাম্পের বক্তব্যকে দিল্লি কী ভাবে ব্যাখ্যা করছে এবং বাংলাদেশকে নিয়ে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মিশ্রি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমরা আশা করি বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন দিকে এগিয়ে যাবে যেখানে আমরা তাদের সঙ্গে গঠনমূলক ও স্থিতিশীল পথে সম্পর্ক চালিয়ে নিতে পারব।এক্ষেত্রে কিছু উদ্বেগ রয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে সে সব বিষয়ে অভিমত তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
ফুয়াদ