ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতীয় নেতা শশী থারুরের বিস্ফোরক মন্তব্য

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতীয় নেতা শশী থারুরের বিস্ফোরক মন্তব্য

ছবি: সংগৃহীত

নয়া দিল্লিতে সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সংসদ সদস্য শশি থারুর বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের অবস্থান এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত সরকার নিয়ে শঙ্কা।

শশি থারুর বলেন, "শেখ হাসিনার বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা তৈরি করেছে। ভারতকে বুঝিয়ে দেয়া প্রয়োজন যে তারা কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর চেয়ে সব বাংলাদেশীদের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" তিনি সতর্ক করে দেন, "বাংলাদেশের ঘটনাগুলোর বিষয়েও ভারতকে সচেতন থাকতে হবে।"

শশি থারুর আরও বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন সরকার নিয়ে তার উদ্বেগ রয়েছে। তিনি বলেন, "যদি শত্রু ভাবাপন্ন কোনো সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে ভারত ঝুঁকিতে পড়তে পারে।" তাই, তিনি বলেন, "ভারতকে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা সম্প্রদায়ের প্রতি উদ্বেগের চেয়ে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে।"

এছাড়া, তিনি ভারতের শাসক গোষ্ঠীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, "একটি নির্দিষ্ট দেশ কে শাসন করবে, আপনাকে তাদের সঙ্গে কাজ করা শিখতে হবে, এবং এটাই আমাদের করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে যা ঘটছে তা আমাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, যেহেতু তাদের অবস্থান আমাদের পাশেই।"

শশি থারুর ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "ভারতের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে বিরত রাখতে বলার প্রয়োজন।" পাশাপাশি, ভারতীয় সরকারের কাছে তার দাবি ছিল, শেখ হাসিনাকে ভারতে বসে উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখার তাগিদ দিয়ে ভারতকে চিঠি পাঠানো উচিত।

শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরবর্তী একদিনেই, ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় উপরাষ্ট্র কেও তলব করা হয়। তাকে এই বিষয়ে আলোচনা করতে বলা হয়, এবং পরদিন নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করা হয়।

ভারতীয় সংসদেও এই ইস্যু নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। রাজ্যসভায় জানতে চাওয়া হয়, "শেখ হাসিনাকে কি ঢাকার হাতে তুলে দেবে ভারত?" এই প্রশ্নের উত্তরে, কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং জানান, "বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছে। তবে বাংলাদেশের সরকার এই বিষয়ে কোন জবাব পাঠায়নি।"

এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সরকারের মধ্যে সম্পর্কের নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে, যা ভারতীয় রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=CzSOtX26MBM&ab_channel=EkattorTV

নুসরাত

×