ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশে সহায়তা বাড়াবে জাতিসংঘ: সহকারী মহাসচিব

প্রকাশিত: ০১:১১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০১:২৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশে সহায়তা বাড়াবে জাতিসংঘ: সহকারী মহাসচিব

ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতিসংঘের প্রকল্প সেবা সংস্থা ইউএনওপিএস (UNOPS)।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে সংস্থাটির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ক্রিস্টিয়ানা ডামকের এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

ঢাকায় এক বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টিয়ানা ডামকের বলেন, “বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। আমাদের লক্ষ্য জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।”

২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইউএনওপিএস। স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়নে সংস্থাটি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

তিনি জানান, “বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে UNOPS গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা ইতোমধ্যে ২৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করেছি, যা হাসপাতালগুলোর জরুরি চিকিৎসাসেবায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে।”

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, “প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশে আনুমানিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। আগামী ৩০ বছরে প্রায় ১৩.১ মিলিয়ন মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে।”

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় UNOPS স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান করছে। তিনি জানান, শ্যামনগর উপজেলায় পরিচালিত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সাত হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

জাতিসংঘের এ সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী মানবিক ও উন্নয়ন কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ক্রিস্টিয়ানা ডারে বলেন, “আমরা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেও কাজ করছি। উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তানে ১১টি স্কুল পুনর্নির্মাণ, তিনটি হাসপাতাল সংস্কার ও চারটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করেছি।”

২০২৪ সালে ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে UNOPS। এ উপলক্ষে তিনি বলেন, “গত তিন দশক ধরে আমরা বাস্তবসম্মত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তা করছি। ভবিষ্যতে আমরা আরও বেশি স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করব এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর সমাধান নিয়ে আসব।”

সাক্ষাৎকারের শেষে তিনি বাংলাদেশের জনগণের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বলেন, “আমি বাংলাদেশি সংস্কৃতির প্রাণচাঞ্চল্য উপভোগ করেছি। আমি আপনাদের জন্য দুটি বাংলা শব্দ শিখেছি—‘শুভ বসন্ত’।”

বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে UNOPS-এর অংশগ্রহণ আগামীতে আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/PXIOtzOh1FI?si=rCgR6gE-0ZEESyW_

এম.কে.

×