
ছবি: সংগৃহীত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সাইয়েদ আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে এই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেন।
সাইয়েদ আবদুল্লাহর পোস্টটি হুবহু এখানে তুলে ধরা হলো:
“গণমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একজন ইন্ডিয়ান সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প যা বলেছেন, সেটাকে কয়েকটা মিডিয়া ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত যেভাবেই হোক মিসইন্টারপ্রেট করছে।
ডেইলি স্টার বাংলা ভার্সনে যেমন হেডিং দিয়েছে— ‘বাংলাদেশের বিষয়গুলো মোদির হাতে ছেড়ে দিচ্ছি: ট্রাম্প’
ডেইলি স্টারকে দেখাদেখি আরও কয়েকটা মিডিয়াও একই টাইপ মিসলিডিং শিরোনাম দিচ্ছে।
তাদের এসব শিরোনাম দেখে এবং নিউজ দেখে মনে হচ্ছে ট্রাম্প যেন মোদিকে দায়িত্ব দিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশ ইস্যু ডিল করার জন্য।
আপনারা যারা এই নিউজটা করবেন, খুব মনোযোগ দিয়ে অনলাইন থেকে ওই ভিডিওটা দেখবেন। ইংলিশের ওপর মোটামুটি লেভেলের দক্ষতা থাকলেই বুঝবেন সেখানে কোন প্রেক্ষাপটে এবং কীভাবে কনভারসেশন চলছিলো।
ট্রাম্পকে এক ইন্ডিয়ান সাংবাদিক যে প্রশ্নটা করেছিলো, তার সামারি হলো— বাইডেন প্রশাসনের সময় বাংলাদেশে রেজিম চেঞ্জ (হাসিনার পতন) ইস্যুতে আমেরিকার ডিপ স্টেটের ভূমিকা আছে। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?
উত্তরে ট্রাম্প বলেছে— না, আমেরিকার ডিপস্টেটের কোনই ভূমিকা নাই। এবং তারপর চোখেমুখে বিরক্তি নিয়ে মোদির দিকে ইঙ্গিত করে (যেহেতু ইন্ডিয়ান সাংবাদিক মনগড়া তত্ত্ব প্রচার করতে চাচ্ছিলো, তাই ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর দিকেই তাকে রেফার করে দিয়ে) ট্রাম্প বলেছেন বাংলাদেশ ইস্যুতে ওই প্রশ্নের উত্তরটা মোদির ওপর ছেড়ে দিলাম! মানে, বাংলাদেশ সংক্রান্ত ওই প্রশ্নটার উত্তর মোদিকে দিতে বলেছিলেন ট্রাম্প। এই হলো ঘটনার সামারি।
আর এইবার চিন্তা করেন যারা এই হেডলাইন করছে যে– বাংলাদেশের বিষয়গুলো মোদির হাতে ছেড়ে দিচ্ছি, তারা ঠিক কী বুঝে এই শিরোনাম করছে? অন্যদের কথা বাদ। ডেইলি স্টার ইংলিশ টু বাংলা অনুবাদ পারে না— এটা আমি বিশ্বাস করি না। ইচ্ছাকৃতভাবে এভাবে জনগণকে ম্যানিপুলেট কেন করতে চান আপনারা?
আর অন্য যেসব মিডিয়া এই টাইপ কাজ করতেছেন, জাস্ট ধুপধাপ কপি-পেস্ট না করে একটু কনভারসেশনটা শুনে আসুন। শুনে তারপর খবর প্রকাশ করুন।
এখন কিন্তু আর ওই যুগ নাই যে যেমন খুশি তেমন মিসইন্টারপ্রেট করে জনগণকে যা গেলাইতে চাইবেন, জনগণ সেটাই গিলবে!
অনেক সুযোগসন্ধানী লোকজন আছেন, যারা এই খবরটা ম্যানিপুলেট করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করবে। দেশপ্রেমিক সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা সত্যটা প্রচার করুন এবং সঠিক সংবাদ পরিবেশন করে সবার কাছে প্রকৃত সত্যটা উপস্থাপন করুন। এতে করে যারা মিসলিডিং শিরোনাম দেখে বিভ্রান্ত হওয়া থেকে সবাই সচেতন থাকতে পারবে।
আর কী হেডলাইন দিলেন আপনারা? একটা কনভারসেশন এর অনুবাদ কীভাবে করতে হয় এইটুকু বেসিক জ্ঞানটুকুও নাই? নাকি তোমরা মনে করো যে ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যানিপুলেট করে মানুষকে ভুল বার্তা দিবা?”
উল্লেখ্য, এই হেডলাইনের বিষয়ে পরে দুঃখ প্রকাশ করেছে ডেইলি স্টার।
নুসরাত